প্রতিবেদন : নবান্ন অভিযানের পর ৭২ ঘণ্টাও কাটেনি। মঙ্গলবারের পর শুক্রবারও শহর কলকাতাকে স্তব্ধ করার মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ফ্লপ শো। শুক্রবার লালবাজার অভিযান কর্মসূচি ছিল বিজেপির যুব মোর্চার। সকাল থেকেই পুরনো স্টাইলে কোমর বেঁধে কলকাতার রাস্তায় প্রতিবাদ জানাতে নেমে পড়ে গেরুয়া বাহিনী। তবে তাদের সমস্ত ছক বানচাল করে দেয় কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন-শংসাপত্রের বিল পেশ
বিজেপির রাজ্য সদর দফতর থেকে মিছিল কলেজ স্ট্রিটের দিকে যেতেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তারপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যুব মোর্চার সমর্থকরা। হাতে খেলনা বন্দুক, গায়ে গেরুয়া পতাকা, রাস্তায় শুয়ে অভিনয়, মুখে স্লোগান যেন মনে করিয়ে দিল জেলেপাড়ার সং-এর কথা। বিজেপির লালবাজার অভিযান কোন পথে হবে এদিন সকাল থেকেই তা নিয়ে জল্পনা ছিল। কথা ছিল কলেজ স্কোয়ারে জমায়েতের পর মিছিল যাবে লালবাজারের দিকে। কিন্তু পরে পরিকল্পনা বদলে বিজেপির রাজ্য দফতরের বাইরে জমায়েত শুরু করেন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা। সেখান থেকেই শুরু হয় মিছিল।
আরও পড়ুন-লালুর পাসপোর্ট : কোর্টের নির্দেশ সিবিআইকে
এরপরই মিছিল সোজা কলেজ স্ট্রিট চত্বরে ঢুকে পড়ে। ছিল কলকাতা পুলিশও। মিছিল কলেজ স্ট্রিটে পৌঁছলেই তা আটকে দেওয়া হয়। এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা। খেলনা বন্দুক নিয়ে চলে ‘যাত্রাপালার মহড়া’। দেখে মনে করিয়ে দিল সাবেক কলকাতার পয়লা বৈশাখের জেলেপাড়ার সংদের মিছিলের কথা। যা দেখে হাসির রোল ওঠে পথচলতি মানুষের মধ্যে। রাজনৈতিক মহলের মতে, কোনও ইস্যু না পেয়ে জনসাধারণকে চরম হেনস্ করতেই বিজেপির এই মিছিল।