প্রবল হতাশা থেকেই বিজেপির মিথ্যাচার

Must read

হতাশা তাড়া করে ফিরছে বিজেপিকে (BJP)। বাংলায় নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় মেনে নিতে পারছে না তারা (BJP)। রাজ্যের নেতা তো বটেই, খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছেন। ওঁরা বুঝতে পারছেন না এই মিথ্যাচার আসলে বাংলাকে অপমান করা। এরই প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন বুদ্ধিজীবীরা।

শুভাপ্রসন্ন
দেশের এই শাসককুল বাংলার ইতিহাস জানে না। ঐতিহ্য, মানবতার ধার ধারে না। এই নব্য গুজরাতি মস্তানদের দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে কোথাও দেখা যায়নি। এরা দেশের জন্য কোনওদিনও কোনও ত্যাগ স্বীকার করেনি। এই ধরনের মানুষেরা যে ভাষায় কথা বলছে তার নিন্দা করার ভাষা আমাদের জানা নেই। আশা করি দেশের মানুষ এদের বিরুদ্ধে জেগে উঠবে।

নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এখন চরম হতাশায় ডুবে রয়েছেন। একে তো বাংলায় নির্বাচনে গো-হারান হেরেছেন। তার ওপর এ রাজ্যে বিজেপির এখন-তখন অবস্থা। ঝগড়াঝাঁটির চূড়ান্ত। তিনি এখন এ রাজ্যের বিরোধী নেতার ভাষাতেই কথা বলছেন। বিরোধী নেতা অন্য জগতের মানুষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক’দিন পরেই রাজ্যে আসবেন। তার আগে তিনি বিরোধী নেতাকে বোঝাচ্ছেন যে তাঁর ইচ্ছেমতোই কথা বলছেন তিনি। এ রাজ্যে হারের জ্বালা এখনও মেটেনি। এটা কিছুটা তারও বহিঃপ্রকাশ।

আরও পড়ুন-বন্ধ দুই স্কুল আদালত অবমাননার দায়ে?

জয় গোস্বামী
২০০২ সালে গুজরাতে কী হয়েছে তা আমরা সবাই জানি। সেটা তাঁকে কেউ মনে করিয়ে দিলে ভাল হত। অমিত শাহের এসব কথা বলার একটাই অর্থ, তা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন সম্পর্কে কুৎসা ও বিরোধিতা করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন পরিচালনার পদ্ধতি সম্পর্কে কুৎসা করা তাঁকে ছোট করা উদ্দেশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

সুবোধ সরকার
বিস্ময়কর, বিস্ময়কর এবং বিস্ময়কর। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ থেকে এ কথাটা বের হল কী করে? তাও আবার দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে। এটা বিশ্বাসই করা যায় না। গত ৭০ বছরের ইতিহাসে কোনও রাজ্য নিয়ে কোনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরকম মন্তব্য করেছেন বলে জানা নেই। তিনি বাংলায় জিততে এসেছিলেন। উল্টো গো-হারান হেরে ফিরে গিয়েছেন।

Latest article