হিঙ্গলগঞ্জের কালীতলায় তৈরি হল বনবিবির মন্দির

কথা দিয়ে কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী

Must read

সুমন তালুকদার, হিঙ্গলগঞ্জ: প্রিয় ‘মমতা দিদির’ কাছে সুন্দরবনবাসীর আবদার ছিল বনবিবির মন্দিরটি (Bonbibi Temple) সংস্কার করার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসিরহাট সফরে গিয়ে বনবিবির মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মন্দিরের সংকারের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এক বছরের মধ্যেই এক অপরূপ সাজে সেজে উঠল বনবিবি মন্দির। এখন শুধুমাত্র উদ্বোধনের অপেক্ষা। সুন্দরবনের জলে-জঙ্গলে সবধর্মের মানুষের কাছেই খুব জাগ্রত বনবিবি। কথিত আছে, ‘রাখে বনবিবি, মারে কে’৷ খাঁড়ি, বাদাবন আর মউলি-মেছুয়ার জঙ্গলে এই বনবিবি (Bonbibi Temple) একমাত্র রক্ষাকর্তা৷ তাই সুন্দরবনের মানুষের কাছে এই মন্দিরের গুরুত্ব অপরিসীম। গত বছর নভেম্বরে বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামশেরনগরে প্রশাসনিক সভায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্থানীয় মানুষের দাবি ছিল, বনবিবির মাটির কাঁচা থানটিকে যেন পাকা করে দেন প্রিয় দিদি। সেই দাবিমতো গতবছর ২৯ নভেম্বর বনবিবি থানটির শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বনবিবির থানটি নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
বছর ঘুরতেই সুন্দরবনের জঙ্গলের খাঁড়ির পাশে নতুন সাজে সেজে উঠছে বনবিবি মন্দির। সুন্দরবন এলাকার মানুষ জীবিকার সন্ধানে জলে-জঙ্গলে যাওয়ার আগে বনবিবিকে পুজো দেন নানা উপাচারে। আবার ফিরে আসার সময় বনবিবির আশীর্বাদ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নম্বর সামশেরনগরের কুঁকড়েখালি জঙ্গল ও নদীর পাশে এই বনবিবির মন্দির যেন সুন্দরবনের হৃৎপিণ্ড। কথিত আছে, বনবিবির থান হল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। হিন্দু-মুসলমান ধর্মনির্বিশেষে মানুষ এখানে পুজো দেন। ১৫ হাজার ভোটারের বাসস্থান কালীতলা পঞ্চায়েত রাজ্যের প্রত্যন্ত পঞ্চায়েত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম। সুন্দরবনের খাঁড়ি লাগোয়া বনবিবির মন্দির। মন্দির সংলগ্ন খাঁড়ির ওপারে বাঘের সংরক্ষিত এলাকা বা বাফার জোন। বনবিবির মন্দিরে পুজো দিয়ে মধু সংগ্রহ করতে বা কাঁকড়া ধরতে যান এলাকার বাসিন্দারা। এমন প্রত্যন্ত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে শিলান্যাস হওয়া মন্দির নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলায় স্থানীয় বাসিন্দারা উচ্ছ্বসিত। জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী জানান, মন্দিরের নতুন ভবন, আলো-সহ সবকিছু করতে খরচ হয়েছে মোট ৭০ লক্ষ টাকা। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন মন্দিরটি উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

আরও পড়ুন- বেনিয়ম বরদাস্ত নয়, স্বাস্থ্যসাথীতে বাদ ১৪২ নার্সিংহোম

Latest article