প্রতিবেদন : আগের নির্বাচনগুলিতে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেননি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে তা তাঁদের বোঝাতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির হেড়িয়ার জনসভা থেকে দলীয় কর্মীদের এই বার্তা দিলেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Khejuri- Kunal Ghosh)। এদিন খেজুরির হেড়িয়ার সভা থেকে ফের অধিকারী পরিবারকে নিশানা করেন কুণাল। এলাকার বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের নেতাকে দেখুন, যার ডাকে আপনারা নবান্ন অভিযানে গিয়েছিলেন। বিজেপি কর্মীদের ইট ছোঁড়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি সবার আগে ‘ডোন্ট টাচ মি’ বলে নিজেকে বাঁচাতে গাড়িতে উঠে গেলেন। তারপর কর্মীরা ইট ছোঁড়া শুরু করল। তাতে আপনারা আহত হলেন। তাই বলছি, এবার যখন যাবেন সঙ্গে করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটা নিয়ে যাবেন। বিজেপি আপনাদের মাথা ফাটালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনা পয়সায় চিকিৎসা করিয়ে দেবেন। এই হল আপনাদের নেতা। আর আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখন সিঙ্গুরের বিডিও অফিস থেকে পুলিশ মারতে মারতে বের করেছিল, তিনি বলেছিলেন আমার ভাইদের গায়ে হাত দেবেন না। এটাই হল তফাত। কেন্দ্রে একটা সরকার চলছে। পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, এলপিজি, চাল সব কিছুর দাম বাড়ছে। উল্টোদিকে বলতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর একটা ক্ষেত্রেও ট্যাক্স বসানো হয়েছে? মানুষ যখন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তখন ওরা বলছে জয় শ্রীরাম। জয় শ্রীরাম আমরাও বলতে রাজি আছি, শুধু বলুন এটা বললে, পেট্রোল পাম্প থেকে ৫০ টাকায় পেট্রোল মিলবে। কুণাল (Khejuri- Kunal Ghosh) আরও বলেন, শুভেন্দু তো ভোটের আগে চলে গেল। যে মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের জেলে ভরা হল, সেই মামলায় শুভেন্দুরও নাম, কিন্তু জেলে যাওয়ার ভয়ে বিজেপিতে চলে গেল। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের কী দেননি? শিশিরবাবু জীবনে একবারই মন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতে। শুভেন্দু এমএলএ, এমপি, মন্ত্রী হয়েছে, দিব্যেন্দু এমপি, সৌমেন্দু চেয়ারম্যান, গোটা পরিবার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তারপরও চলে গেলে তাকে বিশ্বাসঘাতক ছাড়া কী বলবেন।
আরও পড়ুন-এসএসসি পুনর্গঠনে বিল পাশ