নিজের এলাকায় ব্যর্থ বিএসএফ, সীমান্তে বাঙ্কার

Must read

প্রতিবেদন : ঘটা করে গায়ের জোরে নিজেদের এলাকা ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করেছে বিএসএফ। অথচ নজরদারির নামে লবডঙ্কা। আর নজরদারির এই ফাঁক গলেই সীমান্ত এলাকায় কখনও চোরাচালান— কখনও অনুপ্রবেশ ঘটছে অবাধে। আর এবার তো মাটির নিচে পাওয়া গেল বাঙ্কার! নদীয়ার সীমান্ত এলাকার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ায় এই বাঙ্কারকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে গিয়েছে। পাওয়া গিয়েছে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। এতদিন তল্লাশির কোনও বালাই ছিল না। রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবস। নিরাপত্তা নিয়ে আচমকা টনক নড়ে ওঠায় তল্লাশিতে যায় বিএসএফ। তখনই বাঙ্কারের খবর সামনে আসে। ঘটনার তাজ্জব সকলে। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরও। এবিষয়ে শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এটা পুরোপুরি বিএসএফের ব্যর্থতা। এরা ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করেছে নিজেদের এলাকা। সেখানে কী হচ্ছে না হচ্ছে সে সব দেখার ওদের। বিএসএফ না পারে পাচার ঠেকাতে, না পারে ফেন্সিং দিতে, না পারে অনুপ্রবেশ আটকাতে। ওদের নাকের ডগায় এরকম বাঙ্কার তৈরি হল জানতেই পারল না। ওদের গোয়েন্দা ব্যর্থতা। সর্বোপরি এই ব্যর্থতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর।
প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন ধরে কী করছিল তারা! তাদের জুরিসডিকশনে এভাবে দিনের পর দিন নিষিদ্ধবস্তু পাচার করা হয়েছে অথবা অন্য কোন কারণে বাঙ্কার তৈরি করে নিশ্চিন্তে কাজ চালানো হচ্ছে— এ-খবর বিএসএফ পেল না কেন? তাদের গোয়েন্দা বিভাগ এবং তাদের দক্ষতা কোন তলানিতে ঠেকেছে এই ঘটনাই তার প্রমাণ।
শনিবার সকালে কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ায় একটি বাগানের ভিতর প্রথমে মাটির ঢিপি ও মাটির নিচে নির্মাণ কাজের সন্ধান পাওয়া যায়। নির্মীয়মান বাঙ্কার উদ্ধারের পরই জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়ে শুরু হয় তল্লাশি। তাতেই খোঁজ পাওয়া যায় একই বাগানের মাটির তলায় কন্টেনার দিয়ে তৈরি আরও তিন বাঙ্কারের। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৫ ট্রাকের সমান নিষিদ্ধ কাশির ওষুধ। সেই সঙ্গে এই সব বাঙ্কারে যে নিয়মিত মানুষের যাতায়াত রয়েছে তাও স্পষ্ট হয়ে যায় সেখান থেকে খেলার সরঞ্জাম উদ্ধারে। এতবড় মজুত খুঁজে পেতে এত সময় কেন লাগল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেই সঙ্গে বিএসএফের নজরদারিতে থাকা এলাকায় একের পর এক এত বাঙ্কার কীভাবে তৈরি হল, কেউ কীভাবে তা টেরও পেল না, তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতর। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে অপস অ্যালার্ট জারি না হলে কী এভাবেই কাশির ওষুধের পাশাপাশি আরও কিছু পাচারের অপেক্ষা করতে হত বাংলার মানুষকে, উঠেছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন- ১ কোটি ৭৩ লক্ষ আওতায়, ৩৫ লক্ষ পাচ্ছেন বিএসওয়াই: বামেরা অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি

Latest article