প্রতিবেদন : নৃশংস, অমানবিক, নিষ্ঠুর, কল্পনাতীত। বাংলা অভিধানে আরও কোনও শব্দ থাকলে লেখা যেত। কিন্তু তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে বিএসএফ বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তার আড়ালে অত্যাচারের ছবিটা। তৃণমূল কংগ্রেস সেই ছবি প্রকাশ্যে আনতেই বিজেপি নেতারা এবিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কিন্তু জবাব তো বাংলার মানুষকে দিতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বঙ্গ বিজেপির দলবদলু নেতাদের।
তিনি যে প্রমাণ ছাড়া শুধুমাত্র রাজনৈতিক গিমিকের জন্য কথা বলেন না তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। কোচবিহারের ২৩ বছরের তরতাজা যুবক প্রেমকুমার বর্মনকে (Premkumar Barman) কী নৃশংসতার সঙ্গে বিএসএফ গুলি করে খুন করেছে তার প্রমাণ মিলল পোস্টমর্টেম রিপোর্টে। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রেমকুমারের শরীর ফালাফালা করে দিয়েছে ১৮০টি ছররা বুলেট। সেই ছবি দেখলে শিউরে উঠতে হয় এতটাই বীভৎস সে ছবি। দু’দিন আগে কোচবিহারের মাথাভাঙার সভায় প্রেমকুমারের মা-বাবা ও ভাইকে সামনে রেখে এই বীভৎসতার কথাই বলেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। হাতে আসা প্রেমকুমারের (Premkumar Barman) পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট যার সঙ্গে হবুহু মিলে যাচ্ছে। কী বলবেন বঙ্গ বিজেপির হুপহাপ করা লোডশেডিং অধিকারী, ট্রেনি সভাপতিরা?
আরও পড়ুন-ফিনিশিং টাচ ত্রিপুরায় তৃণমূল ঝড়
বিএসএফ এর নৃসংশতায় একজন নিরীহ যুবকের প্রাণ গেলেও একবারও বিএসএফ কিংবা বিজেপির তরফে কেউ তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রেমকুমারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেনি। পাশে দাঁড়ানো তো দূর অস্ত। অভিষেক সেদিন সভায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, এর শেষ দেখে ছাড়বেন। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। যতদূর যেতে হয় যাবেন। বিজেপি ভোটের আগে এক কথা বলে আর ভোটের পর সেকথা বেমালুম ভুলে যায়। এই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি আর বিভাজনের রাজনীতি যে মানুষ বরদাস্ত করবেন না তা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে বাংলায়। একে একে বেরিয়ে পড়ছে বিজেপির কঙ্কাল সার চেহারাটা। তবে মেকি রাজবংশী দরদী, আদিবাসী দরদী, চা শ্রমিক দরদী সাজা বিজেপিকে যে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না তা ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। আগামী দিনেও এই ধারা বজায় থাকবে৷