যেকোন রকম অপরাধমূলক কাজে যোগীরাজ্য যে শীর্ষে বলাই বাহুল্য। নারী সুরক্ষা বহুদিন আগেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, ক্রমশ বিকৃত মানসিকতার অপরাধের আঁতুরঘর হয়ে উঠছে উত্তর প্রদেশ। কিছুদিন আগেই পুলিশ আধিকারিকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর খবর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এবার উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা প্রকাশ্যে এল। শুধু তাই নয় সুযোগের সদ্ব্যবহার করে তার স্ত্রীকে ডাকাত দল গণধর্ষণ করেছে বলেই খবর। সেই সময় সে তার মা ও তার দুই সন্তানকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে বাইরে ছিল।
আরও পড়ুন-অসময়ে বৃষ্টির জেরে ধান-সব্জি চাষে ক্ষতি, দেওয়া হল একগুচ্ছ পরামর্শ
ডাকাতির লক্ষ্য নিয়ে পাঁচজন দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে বেঁধে গণধর্ষণ করে বলে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ডাকাতরা মদ খেয়ে তার স্ত্রীর শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি। এছাড়াও তারা সোনার গয়না, ২ কেজি রুপোর জিনিসপত্র, নগদ ১.৫ লক্ষ টাকা, একটি স্কুটার এবং বাড়িতে লাগানো একটি এলইডি টিভিও চুরি করেছে। যেখানে মূল্যবান জিনিসপত্র রাখা ছিল দুষ্কৃতীরা সেই আলমারি ও ঘরের তালা ভেঙে দেয়। পরে তারা ব্যবসায়ীর স্ত্রীকেও নেশা করতে বাধ্য করে। পুলিশ প্রথমে পুরো বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও মামলাটি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন-নিউজক্লিকের আর্থিক তছরুপের মামলায় ফের আমেরিকার ধনকুবেরকে তলব ইডির
এছাড়া গত ১৯ অক্টোবর ব্যবসায়ী ছিনতাই এর শিকার হন বলে অভিযোগ জানান। সেই সময় ডাকাতরা তাকে আটক করে নগদ ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এবং ডাকাতির ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এদিকে, পুলিশ সুপার নীরজ জাদাউন, কর্তব্যে গাফিলতির জন্য স্টেশন ইনচার্জ বিকাশ কুমারকে শো’কজ কারণ তিনি ১৯শে অক্টোবরের মামলায় অভিযোগ নথিভুক্ত করার পরিবর্তে শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আপাতত গণধর্ষণ এবং ডাকাতি সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক ধারায় পুলিশ এখন একটি মামলা দায়ের করেছে।