প্রতিবেদন : দেশের তিন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কমিটির নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কমিটিতে প্রধান বিচারপতিকে যুক্ত করা হোক। সদ্য পাশ হওয়া কেন্দ্রের আইনকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (সংশোধনী) বিল অনুযায়ী, এবার থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির কোনও ভূমিকা থাকবে না।
আরও পড়ুন-এলাকার মানুষের প্রধান ভরসা রায়বাঁধ, গ্রামীণ হাট ঢেলে সাজছে রাজ্যের টাকায়
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ করা মন্ত্রিসভার এক সদস্য। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আনা এই আইন স্বচ্ছ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে বিরোধী শিবির। এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় মামলাকারীদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বছতার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই কারণেই কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে ওই কমিটিতে রাখা জরুরি। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা একচ্ছত্রভাবে মন্ত্রিসভার হাতে থাকবে না। এদের নিয়োগ করবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতির যৌথ কমিটি।
আরও পড়ুন-উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণে খরচের রেকর্ড গড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর
এই কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। যদি কখনও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা পদে কেউ না থাকেন, তাহলে বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতাকেই এই কমিটিতে নেওয়া হবে। কিন্তু গত শীতকালীন অধিবেশনে তড়িঘড়ি পাল্টা আইন এনে সুপ্রিম কোর্টের সেই রায় অকেজো করে দেয় কেন্দ্র। শীতকালীন অধিবেশনে নয়া বিল দুই কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে সেটি আইনেও পরিণত হয়েছে। এর বিরুদ্ধেই এবার শীর্ষ আদালতে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।