নয়াদিল্লি : ফের একবার চরম বিতর্কের মুখে পড়ল সিবিএসই। দশম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একটি প্যাসেজের অংশে মহিলাদের ভূমিকাকে অত্যন্ত অমর্যাদাকর হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় সরব হন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। অবিলম্বে এই প্রশ্ন প্রত্যাহার ও সিবিএসই-কে ক্ষমা চাওয়ার দাবি ওঠে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সোমবার ওই প্রশ্নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন। গত ১১ ডিসেম্বর সিবিএসই–র ইংরেজি পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন ছিল। যে প্রশ্নের একাধিক বাক্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। একটি বাক্য ছিল, মহিলাদের স্বাধীনতার ফলে সন্তানদের উপর অভিভাবকদের কর্তৃত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : সুন্দরবন উন্নয়ন, কী পরিমাণ বরাদ্দ?
অপর একটি বাক্যে বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র নিজের স্বামীর পথ অবলম্বন করে কনিষ্ঠদের থেকে আনুগত্য লাভ করতে পারবেন মহিলারা। এমনকি স্ত্রীরা স্বামীদের কথা মেনে চলা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং সে কারণেই সন্তান ও পরিচারকেরা কোনও কথা শোনে না। এমনটাই লেখা হয়েছে প্রশ্নপত্রে।
এই প্রশ্নপত্র প্রসঙ্গেই সোমবার সংসদে সরব হতে দেখা যায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। তিনি বলেন, এই ধরনের প্রশ্ন অত্যন্ত নিম্নগামী মানসিকতার পরিচায়ক৷ অবিলম্বে এই প্রশ্নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে৷ কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে৷ সরব হন লোকসভার অন্যান্য বিরোধী সাংসদ ও নেতারাও৷ প্রবল চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত প্রশ্নটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় সিবিএসই–র পক্ষ থেকে৷ জানানো হয়, এই প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হবে৷ যদিও প্রশ্নপত্রে এরকম নজিরবিহীন নারীবিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ পাওয়ার পরেও ক্ষমা চাওয়ার পথে হাঁটেনি সিবিএসই৷