সংবাদদাতা, কাটোয়া : চামুণ্ডা পুজো উপলক্ষে অকাল ‘দুর্গোৎসব’ মেতে উঠেছে মন্তেশ্বর। দুর্গাপুজোর মতোই চামুণ্ডা পুজো এই এলাকায় ৪ দিন ধরে চলে। মন্তেশ্বর গ্রামের মাইচপাড়ায় রয়েছে দেবী চামুণ্ডার মূল মন্দির। সেখানে তিনি বছরভর বিরাজ করেন। এছাড়াও এলাকায় দেবীর বড়মন্দির ও ভোগমন্দির নামে আরও দু্টি মন্দির রয়েছে। পুজোর নানা বৈশিষ্ট্য নজর কাড়ে। ‘অধিবাস’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেবীর বাৎসরিক পুজো।
আরও পড়ুন-নোবেলজয়ীকে উচ্ছেদ রুখতে অবস্থানের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
এরপর গ্রামের হাজরা বাড়িতে দেবীর বিবাহ অনুষ্ঠানের পর দেবীকে মূল মন্দির থেকে স্থানীয় খাঁ পুকুরের জলে গোপনে ডুবিয়ে রেখে আসা হয়। অষ্টমী তিথিতে হয় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে দেবীর খোঁজে খাঁ পুকুরের জলে নামেন ভক্তরা। জল থেকে তুলে দেবীকে একবার কোলে নেওয়ার জন্য ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। জল থেকে তোলার পরই পুকুরপাড় থেকে পুজো ও বলিদান পর্ব শুরু হয়ে যায়। ওই রাতেই বড়মন্দিরে দেবী আসতে মহিষ ও ছাগবলি হয়। নবমীতে দেবীকে ভক্তরা কাঁধে করে চতুর্দোলায় চাপিয়ে বিভিন্ন বেদিতে যান ও পুজো দেন। দশমী তিথিতে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে উপচে পড়ে পুজোপ্রাঙ্গণ।
আরও পড়ুন-অভিষেক আসছেন, উদ্দীপিত ফরাক্কা
মূল মন্দিরে নিয়ে যাওয়ার আগে দেবীকে চতুর্দোলায় তুলে তা কাঁধে চাপিয়ে উদ্দাম নৃত্য করেন ভক্তের দল। গ্রামের বাসিন্দা নবগোপাল হাজরা, অভিষেক চৌধুরিরা জানান, ‘‘পুজোর জন্য বর্ধমানের মহারাজ কীর্তিচন্দ মহতাব মন্দির নির্মাণ করে দেন। পুজোর অর্থবরাদ্দের পাশাপাশি তিনি জমিও দান করেন।’’ চারদিনের পুজো উপলক্ষে বসেছে মেলা। চলছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এককথায় গোটা মন্তেশ্বর মাতোয়ারা দেবী চামুণ্ডার আরাধনায়।