নয়াদিল্লি : দু’দিন আগেই দমনপীড়নমূলক আইন বহাল রাখার পক্ষে শীর্ষ আদালতে জোরদার সওয়াল করেছিল কেন্দ্র। এবার সেই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়েই ঢোক গিলল মোদি সরকার। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে কেন্দ্র জানাল, আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে এই আইনটি বহাল রাখা নিয়ে পুনর্বিবেচনা শুরু করেছে সরকার। কেন্দ্রের আরও দাবি, এই আইনের প্রয়োগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী অবগত এবং নাগরিকদের স্বাধীনতা রক্ষার পক্ষে তিনি।
আরও পড়ুন-উলটপুরাণ! নাগরিকত্ব না পেয়ে ফিরতে হল পাকিস্তানেই
এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং অন্যান্যদের দায়ের করা মামলায় সময় নষ্ট না করে এই আইনটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে সময় দেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ গত শনিবারই সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের পক্ষে জোর সওয়াল করেছে কেন্দ্র। বিচারপতিরা যখন জিজ্ঞেস করেন, ব্রিটিশ আমলের পুরনো আইন এখনও কেন বজায় রাখতে চাইছে কেন্দ্র? যে আইনটি ব্রিটিশ সরকার মহাত্মা গান্ধী, বাল গঙ্গাধর তিলকদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আটকাতে ব্যবহার করত, বর্তমান সময়ে সেই আইনের প্রয়োজন কী? শীর্ষ আদালতের প্রশ্নেও বিস্ময়করভাবে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল৷ বর্তমান বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকার–বিরোধী প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর দমন করতেই রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের লাগাতার অপব্যবহার চালানো হচ্ছে৷ বিরোধী রাজনৈতিক দল, সমাজকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক কেউই বাদ যাচ্ছেন না৷ কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে চারপাশে বিতর্ক বাড়তেই অবশেষে পাল্টি খেল কেন্দ্র৷