প্রতিবেদন : ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতা হেমন্ত সোরেনকে জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মামলায় গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন হেমন্ত। আজ, শুক্রবার সেই মামলার শুনানি। তাঁর গ্রেফতারি রাজনৈতিক কারণে ঝাড়খণ্ডে অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্র বলে শীর্ষ আদালতে অভিযোগ করেছেন হেমন্ত।
আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশে এবার গণবিবাহেও দুর্নীতি! যোগীরাজ্যে বেনজির অব্যবস্থার ভিডিও ভাইরাল
বৃহস্পতিবার সকালে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবাল ও অভিষেক মনু সিংভির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের সামনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ শুক্রবারই শুনানির জন্য মামলাটি তালিকাভুক্ত করতে সম্মত হয়। গ্রেফতারির বর্ণনা দিয়ে সিবাল বলেন, এই ঘটনা দেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে। একজন প্রশাসনিক প্রধানকে কি এভাবে গ্রেফতার করা যায়? আইনজীবীর কথায়, গ্রেফতারির মেমো বলছে রাত ১০টায় গ্রেফতার, আর ইডি বলেছে বিকেল ৫টায় গ্রেফতার করা হয়েছে। খুবই গুরুতর বিষয় যে নির্বাচনের আগে প্রতিটি বিরোধী নেতাকে গ্রেফতারির চেষ্টা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা শুক্রবার এটি তালিকাভুক্ত করব। যদিও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ইডি-র পক্ষে উপস্থিত হয়ে উল্লেখ করেন, সোরেনের গ্রেফতারিকে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হলেও ফের কেন সুপ্রিম কোর্টে আসা হয়েছে? এটি হাইকোর্টের প্রতি অসম্মান। প্রত্যুত্তরে সিবাল জানান, হাইকোর্টের আবেদনটি প্রত্যাহার করা হবে।
আরও পড়ুন-বাড়ল না আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা, হতাশ হলেন চাকরিজীবী থেকে মধ্যবিত্ত মানুষেরা
এদিকে হেমন্ত সোরেন বুধবার তাঁর গ্রেফতারির আগের মুহূর্তের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, পুরো দিন জিজ্ঞাসাবাদে কাটানোর পর ইডি আমাকে হেফাজতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা আমাকে এমন কিছু বিষয়ে অভিযুক্ত করছে যা আমার সঙ্গে আদৌ সম্পৃক্ত নয়। তারা আমাকে যে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে জড়াচ্ছে সেই জমি কখনও বিক্রি হয় না। তারা আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি। তারা দিল্লিতে অভিযান চালিয়ে কিছুই পায়নি। তবু আজ তারা এসেছে এবং সারাদিন জিজ্ঞাসাবাদে কাটিয়েছে। তারা জানে যে সন্ধ্যায় আদালত বন্ধ থাকে এবং তাই তারা সন্ধ্যায় আমাকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। হেমন্ত সোরেন আরও বলেন, এরা আমাকে গ্রেফতার করলেও আমি ভয় পাই না। কারণ আমি শিবু সোরেনের ছেলে। লড়াই আমার রক্তে মিশে আছে। জমির সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমাকে জাল কাগজপত্রের ভিত্তিতে ফাঁসানো হয়েছে। হেমন্ত সোরেন বলেন, বিহারের পর ঝাড়খণ্ডকে বিজেপির ষড়যন্ত্রের দ্বিতীয় শিকার করা হয়েছে।