উত্তরপ্রদেশে এবার গণবিবাহেও দুর্নীতি! যোগীরাজ্যে বেনজির অব্যবস্থার ভিডিও ভাইরাল

গণবিবাহের মতো মানবিক ও সামাজিক কর্মসূচি নিয়েও যে বিরাট দুর্নীতি হতে পারে তা দেখিয়ে দিল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ।

Must read

প্রতিবেদন : গণবিবাহের মতো মানবিক ও সামাজিক কর্মসূচি নিয়েও যে বিরাট দুর্নীতি হতে পারে তা দেখিয়ে দিল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ। সরকারি এই প্রকল্প ঘিরে বিস্তর অভিযোগ সামনে আসছে। গণবিবাহের নামে লোকদেখানো ভুয়ো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিপুল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠছে। বর ছাড়াই বিয়ে হচ্ছে। একদল মেয়েকে সামান্য টাকার লোভ দেখিয়ে কনে সাজিয়ে সরকারি টাকা নয়ছয় হচ্ছে। প্যান্ডেল, পুরোহিত, লোকজন, খাওয়াদাওয়া সবকিছু দিয়ে গণবিবাহের ভুয়ো নাটক চলছে। কোনও পাত্রের দেখা নেই, বর ছাড়া একদল কনে নিজেরাই নিজেদের মালা পরাচ্ছেন এমন ভিডিও সামনে আসতেই দুর্নীতির পর্দাফাঁস। উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। এরপর আরও নানা জায়গা থেকে অভিযোগ আসা শুরু।

আরও পড়ুন-ভোটের আগে ভাঁওতা, আমজনতার জন্য শুধুই শূন্যতা

বিরোধীদের কটাক্ষ, গণবিবাহের মতো অনুষ্ঠানেও দুর্নীতি! এই অনুষ্ঠানে যোগীর সাধের প্রকল্পের টাকা পকেটে ভরতেই রাজ্যের একাধিক প্রান্তে দুর্নীতি চক্র কাজ করছে। বালিয়ার পর অন্যত্রও একের পর এক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে।
যোগীরাজ্যের বালিয়া জেলার মানিয়ারে গত ২৫ জানুয়ারি আয়োজিত মুখ্যমন্ত্রীর গণবিবাহ প্রকল্প নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। গণবিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেয়েদের বরের অনুপস্থিতিতে গলায় মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশের রামপুর, ঘাটমপুর, ছিটাউনি প্রভৃতি গ্রামের মেয়েরা যাঁদের এক বা দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছে, তাঁদের ডাকা হয়েছিল এই গণবিবাহতে। এমনকী হিন্দু গণবিবাহতে মুসলিম মেয়েদেরও সাত পাকে ঘোরানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তড়িঘড়ি বিষয়টির তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন সিডিও। ভুয়ো সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে মানিয়ার থানায় সমাজকল্যাণ আধিকারিকও একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, যোগীরাজ্যে সমাজকল্যাণ দফতর পরিচালিত বিবাহ অনুদান প্রকল্পের মতো মুখ্যমন্ত্রী গণবিবাহ যোজনাও ধীরে ধীরে দুর্নীতির কবলে পড়ছে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

দুর্নীতিতে রাশ টানতে আবেদন থেকে তহবিল প্রকাশের প্রক্রিয়া অনলাইনে করে প্রশাসন। তারপরও কারচুপি থামছে না। অভিযোগ, এই প্রকল্পের কোনও টাকাই এখনও মেয়েদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়নি। সমাজকল্যাণ বিভাগ প্রতি দম্পতির জন্য ৫১ হাজার টাকা ব্যয় করে। এতে দম্পতিকে উপহার দিতে ১০ হাজার টাকা এবং অতিথিদের খাবার ও পানীয়ের জন্য ৬ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়। এছাড়াও মেয়েটির অ্যাকাউন্টে ৩৫ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হয়। কিন্তু ভুয়ো গণবিবাহের আসর বসিয়ে বরাদ্দ টাকা মেয়েদের হাতে তো পৌঁছচ্ছেই না, উল্টে বিয়ে হয়ে যাওয়া হিন্দু ও মুসলিম মেয়েদের জোর করে বিয়ে দিয়ে প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু সুবিধাভোগীরা। নির্বাচনকে সামনে রেখে যোগী এসব প্রকল্পের ঘোষণা করলেও তাতে এমন দুর্নীতির বহরে মুখ পুড়েছে তাঁর সরকারের।

Latest article