মুক্তি পেতে আদালতে চন্দনা

Must read

সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাঁকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন, পিছিয়ে-পড়া এই মহিলাই একদিন বাংলার মুখ হবেন। না, প্রধানমন্ত্রীর সেই ভবিষ্যদ্বাণী মেলেনি। উল্টে সেই মহিলা, শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি বাংলার মুখ পোড়ালেন। বিবাহিত ও তিন সন্তানের মা হওয়া সত্ত্বেও গাড়িচালক, ভিন্নমতে বিজেপির শালতোড়া বিধানসভার আহ্বায়ক কৃষ্ণ কুণ্ডুকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করলেন।

আরও পড়ুন : স্ট্রেস নেবে না, : ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ মমতার

 

চন্দনা-সারথি কৃষ্ণর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু গঙ্গাজলঘাটি থানায় অভিযোগ করেন চন্দনার বিরুদ্ধে। রুম্পার অভিযোগ, স্ত্রী এবং সন্তান থাকা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে চন্দনা বিয়ে করেছেন। সর্বোপরি চন্দনা নিজেও বিবাহিতা এবং তিন সন্তানের জননী। দু’সপ্তাহ আগে চন্দনা-কৃষ্ণ কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। চন্দনা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীকে পাশে বসিয়ে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, এই অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রচার। কিন্তু ততক্ষণে চন্দনা-কৃষ্ণর বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হতেই বিধায়ক চন্দনা ভয় পেয়ে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।
কৃষ্ণর স্ত্রী রুম্পা বলেন, আমার স্বামী মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন চন্দনার জন্য। মাঝে মাঝে চন্দনার নাম করে ভুল বকছেন। কয়েকদিন আগে বর্ধমানে এক ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। কাজ হয়নি। চন্দনা-ভূত ওর মাথায় চেপে বসে আছে। চন্দনা আমার সুখের সংসার ভেঙে চুরমার করে দিল!

আরও পড়ুন : শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন অতিথিশালা

জানা গিয়েছে, চন্দনার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ। সরকারি আইনজীবী সজল বারিক জানান, চন্দনা আজ জামিন চাইতে এসেছিলেন। জনপ্রতিনিধিদের অপরাধের জন্য বারাসতে একটি আদালত তৈরি করা হয়েছিল, সেটি এখন বিধাননগরের ময়ূখ ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে। এখন আদালতে গিয়ে নিজেকে মুক্ত করতে চাইছেন বিজেপি বিধায়ক।

Latest article