চন্দ্রযান-৩ মিশনে বীরভূমের ছোঁয়া, গর্বিত রাজ্যবাসী

এমন এক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দরুন স্বাভাবিকভাবেই গর্বিত রাজ্যবাসী।

Must read

চন্দ্রযান-৩ (Chandrayan 3) মিশনে ছিলেন বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার ময়ূরশ্বরের দক্ষিণগ্রামের গবেষক বিজয় দাই। দেশের এমন এক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দরুন স্বাভাবিকভাবেই গর্বিত রাজ্যবাসী। প্রত্যন্ত এই গ্রামের ছেলে ছিলেন তিনি। চন্দ্রযান-২ প্রকল্পে টিমের সিনিয়র বিজ্ঞানী ছিলেন সেই হিসেবে তিনি এই টিমে আছেন। পেশায় অস্থায়ী এনভিএফ কর্মী ছিলেন বিজয়বাবুর বাবা নারায়ণচন্দ্র দাই। চরম আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যেই তিন ছেলের লেখাপড়া করিয়েছেন তিনি। অসুস্থতার ফলে তাকে চাকরি ছাড়তে হয়েছে।

আরও পড়ুন-প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি বাবা-মাকে উৎসর্গ করলেন যশস্বী

গর্বের বিষয় পরিবারের মেজ ছেলে বিজয় চন্দ্রযান-২ প্রকল্পের সিনিয়র বিজ্ঞানী। ইতিমধ্যেই গ্রামের ছেলে বিজয়কে নিয়ে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে সেই এলাকার গ্রামবাসীদের মধ্যে। ২০০০ সালে দক্ষিণগ্রাম হাইস্কুল থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করার পর বিজয় দাই স্কলারশিপ পেয়ে বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন। জয়েন্ট এন্টার্ন্স দিয়ে কল্যাণী গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি-টেক করেন। তিনি এমটেক পড়ার জন্য যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখানে পড়াশোনা চলাকালীন অনলাইনে ISRO-র বিজ্ঞানী পদে তিনি আবেদন করেন।

আরও পড়ুন-গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এবার তৈরী করবে যুদ্ধজাহাজ

লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পর হায়দরাবাদে ইন্টারভিউয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ইসরোর বিজ্ঞানী পদে তিনি যোগ দেন। চাকরি করতে করতেই অধ্যাপকদের সাহায্যে তিনি ২০০৮ সালে এমটেক শেষ করেন। তারপর থেকেই ISRO-র অনেক অপারেশনের সঙ্গে তিনি নিজেকে যুক্ত করেন। প্রথমদিকে তিনি রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট মিশনে কাজ করেন। তিনি মঙ্গলায়ন মিশন নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কাজ করছেন। ISRO থেকে আরএস-১২বি স্যাটেলাইট লঞ্চ করা হয় কিছুদিন আগেই। জানা গিয়েছে সেই অপারেশন ম্যানেজার ছিলেন তিনি।এরপর চন্দ্রযান-২ অপারেশন টিমের সদস্য হন ও চন্দ্রযান-৩ টিমে তিনি আছেন। ISRO-তে ১৬ বছর ধরে তিনি কর্মরত রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থায় তাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত সকলেই।

Latest article