প্রতিবেদন : কাউন্টডাউন শুরু। আর দিন ছয়েকের অপেক্ষা। তারপরই চাঁদের দেশে নামবে ভারতের চন্দ্রযান-৩। তার আগে বৃহস্পতিবার আরও এক অগ্নিপরীক্ষা ছিল ইসরোর কাছে। সসম্মানেই তাতে উত্তীর্ণ হয়েছে তারা।
আরও পড়ুন-বাংলা থেকে মার্কিন মুলুকে রফতানি বেড়েছে ৫৫ শতাংশ
বৃহস্পতিবার প্রোপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ল্যান্ডার মডিউল। ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ -এর ল্যান্ডার বিক্রম আগামী বুধবার চাঁদে নামবে। চাঁদের যত নিচে নামতে থাকবে ততই কক্ষপথ বৃত্তাকার হতে থাকবে। এরপর পাক খেতে খেতে ক্রমশ নিচে নেমে সফট ল্যান্ডিং। আগামী ২৩ এবং ২৪ অগাস্টের মধ্যে চন্দ্রযান-৩ চাঁদে অবতরণের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই মহাকাশযানকে অবতরণ করানো হবে।
আরও পড়ুন-মোদির ৬-জি জুমলার নমুনা
চার বছর আগে ঠিক এই পর্যায়ে এসে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরোর ‘চন্দ্রযান-২’। তাই, এই পর্যায় নিয়ে বাড়তি টেনশন বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের। অত্যন্ত দুর্গম খানাখন্দে ভরা চাঁদের এই দক্ষিণ মেরু। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোনও দেশ এই অংশে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পারেনি। এখানকার পৃষ্ঠ আক্ষরিক অর্থেই এবড়ো খেবড়ো। এই অংশে চাঁদের পৃষ্ঠ স্পর্শ করাই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। গত ১৪ জুলাই উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-৩-কে। প্রথম কয়েকদিন পৃথিবীর কক্ষপথেই পাক কাটছিল এই মহাকাশযান। বুধবার ইসরোর তরফে ট্যুইটে জানানো হয়, চাঁদের ১৫৩ কিলোমিটার X ১৬৩ কিলোমিটার কক্ষপথে প্রবেশ করেছে চন্দ্রযান-৩।
আরও পড়ুন-এমএলএ হস্টেলে নয়া ক্যান্টিন
তবে বৃহস্পতিবার চন্দ্রযান-৩ থেকে বিক্রম বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ইসরো আগে থেকেই ঘোষণা করে রেখেছে, আগামী ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ল্যান্ডার। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেও চাঁদে নেমে পড়তে পারে বিক্রম। গত ১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে এলভিএম৩/এম৪ রকেটের সাহায্যে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল চন্দ্রযান-৩-এর। উৎক্ষেপণের ২২ দিন পর চন্দ্রযান-৩ পৌঁছে যায় চাঁদের কক্ষপথে। ২৩ অগাস্ট বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে সফ্ট ল্যান্ডিং করার কথা চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর।