স্টয়নিসের ব্যাটে স্বপ্নভঙ্গ চেন্নাইয়ের

মার্কাস স্টয়নিস। অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার যে নিজের দিনে একার হাতেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেল চেন্নাই সুপার কিংস।

Must read

চেন্নাই, ২৩ এপ্রিল : মার্কাস স্টয়নিস। অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার যে নিজের দিনে একার হাতেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেল চেন্নাই সুপার কিংস। বদলা নেওয়া তো দূরের কথা, ঘরের মাঠে ৬ উইকেটে হারের লজ্জা পেতে হল এম এস ধোনিদের। জেতার জন্য ২১১ রান তাড়া করতে নেমে, স্টয়নিসের বিস্ফোরক ইনিংসের সুবাদে তিন বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নিল লখনউ সুপারজায়ান্টস। প্রসঙ্গত, চিপকের ২২ গজে সবথেকে বড় রান তাড়া করে জয়ের নজির মঙ্গলবারের এই জয়।

আরও পড়ুন-যোগ্যদের কেন ভুগতে হবে? রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে চাকরিহারারা

অথচ, রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই কুইন্টন ডি’ককের (০) উইকেট হারিয়েছিল লখনউ। এরপর অধিনায়ক কে এল রাহুল (১৬) ও দেবদূত পারিকল (১৩) আউট হলে চাপ আরও বেড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলে রোমাঞ্চকর জয় উপহার দেন স্টয়নিস। ৬৩ বলে অপরাজিত ১২৪! ১৩টি চার ও ৬টি বিশাল ছয়। স্টয়নিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ম্লান হয়ে গেল চেন্নাই অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের অনবদ্য সেঞ্চুরিও।
স্টয়নিসকে দারুণ সঙ্গ দিলেন নিকোলাস পুরান ও দীপক হুডা। পুরান ১৫ বলে ৩৪ করে আউট হলেও হুডা ৬ বলে ১৭ রান করে নটআউট থেকে যান। শেষ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল ১৭ রানের। মুস্তাফিজুরের প্রথম তিন বলেই তা তুলে নেন স্টয়নিস। এই জয়ের সুবাদে ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে এল লখনউ। অন্যদিকে, সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পেয়ে পাঁচে চেন্নাই।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে, চেন্নাইয়ের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ম্যাট হেনরির শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অজিঙ্ক রাহানে (১)। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা ড্যারিল মিচেলও খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। ১০ বলে ১১ রান করে তিনি যশ ঠাকুরের শিকার। ওই পরিস্থিতিতে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রবীন্দ্র জাদেজা। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ২৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ঋতুরাজ। ১২ ওভারেই একশো রান তুলে ফেলেছিল চেন্নাই। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ৫২ রান যোগ করার পর ছন্দপতন। ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হয়ে যান জাদেজা। মহসিন খানের স্লোয়ারে ঠকে গিয়ে উইকেটে পিছনে ধরা পড়েন তিনি।
যদিও শিবম দুবেকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন ঋতুরাজ। ক্রিজে এসেই চালাতে শুরু করেছিলেন শিবম। অন্যদিকে, ৫৬ বলে সেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন ঋতুরাজ। এক ওভার পরেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শিবম। মাত্র ৪৬ বলে ১০৪ রান যোগ করে দলের রানকে দুশোর গণ্ডি পার করে দিয়েছিলেন দু’জনে। শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছয় মেরে ৬৬ করে আউট হন শিবম। ৬০ বলে ১০৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান ঋতুরাজ।

Latest article