ডুমুরজোলা থেকে বালেশ্বরের (Balasore) দিকে রওনা হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সকাল ১১ টার পর হেলিকপ্টারে ওড়িশার দিকে যান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। শনিবার সকালে বালেশ্বরে পৌঁছেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।
আরও পড়ুন-‘ঘটনার দায় নিয়ে রেলমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত’ ক্ষোভপ্রকাশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
রেলমন্ত্রী এই মর্মে জানিয়েছেন, আহতদের চিকিৎসার সবরকম দায়িত্ব নেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিশনার রেল সেফটিকে ডাকা হয়েছে। এছাড়া তারাও তদন্ত করবে।
আরও পড়ুন-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবজোয়ার আনার উদ্যোগ
এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটি শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা।’ রেলওয়েতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় গলদের অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, ‘বালেশ্বরের হাসপাতালে জায়গা না হলে, আহতদের কলকাতায় এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।’ একারাও উদ্ধারকাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। সেখানে আহতদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধারকাজ নিয়ে বালেশ্বরের জেলা শাসকের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস কেন কাজ করেনি? মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য রেলকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবজোয়ার আনার উদ্যোগ
ট্রেন দুর্ঘটনায় বাংলার মৃতদের পরিবারকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ৫ লক্ষ টাকা, আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ‘মেদিনীপুর থেকে মেডিক্যাল টিম এসেছে ওড়িশায়। ভাল করে দুর্ঘটনার তদন্ত হোক।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও বাস দিয়েছি। কোনও পরিবারের কোনও সমস্যা থাকলে, স্বজনদের কোনও সমস্যা হলে আমাদের টিম রয়েছে। তাঁরা সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তাঁরা ওড়িয়া ভাষাও জানেন। আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতেও প্রস্তুত রয়েছে এই টিম।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন, ‘কিছু একটা তো হয়েছে। কিছু একটা তো হয়েছে। ভাল করে তদন্ত করতে হবে। আমি তো শুনছি মৃতের সংখ্যা ৫০০ হতে পারে। এখনও তিনটি কামরায় উদ্ধার কাজ বাকি রয়েছে।’