আজ, বালুরঘাটে সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে বাঘইট থেকে জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এনআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-স্মৃতির মহানায়িকা
মঞ্চ থেকে ক্ষোভপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”ক্ষমতা থাকলে লড়াই করে জেত। আমার বুথ কর্মী, এজেন্টদের গ্রেফতার করবে না। হেমন্ত সোরেন থেকে পাবলিক নেতাদের গ্রেফতার করবে না। আর আপনাদের এখানে কুশান্তবাবু, গদ্দার যা বলবে তাই করতে হবে। আমি জেনারেলি বলি না। পড়ুয়ারা কী শিখবে? বিজেপির প্ল্যান নম্বর ওয়ান–যাঁরা পাহাড়া দেবে তাঁদের টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া, দুই কিছু খাওয়ানোর নামে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া, তিন–লোডসেডিং করে বাক্স দখল করা। এমন কাউকে পাহাড়ায় রাখবেন না যাঁরা বিশ্বস্ত নয়। তৃণমূলের সব বুথ প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করতে হবে। তৃণমূলের সব এজেন্টদের গ্রেফতার করতে হবে। আমরা বিজেপির নির্বাচন কমিশন চাই না। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ কাজ করুক। রাজ্যের অফিসারদের পরিবর্তন হবে, অত্যাচারী ইডি-সিবিআইদের কেন পরিবর্তন হবে না? যত দোষ রাজ্যের বেলায়? সব কিছু করবে রাজ্য পুলিশ আর ভোটের সময় চলে আসছে বিএসএফ, সিআইএসএফ? আর গুলি চালাবে? আগেরবার ভোটের সময় শুনেছিলাম বিএসএফ লাইন করাচ্ছিল। এটা ওদের কাজ নয়। ভোট হওয়ার পর ভাল করে পাহাড়া দিতে হবে।”
আরও পড়ুন-ভূপতিনগরে হামলার শিকার এনআইএ, বিজেপির রাজনীতি ও প্ররোচনার ইঙ্গিত দিলেন কুণাল ঘোষ
এদিন ফের একবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, ”আমি বাংলায় আছি বলে বিজেপি-র খুব রাগ। তৃণমূলকে হারানো উদ্দেশ্য। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগায়। একটা এনআইএ বালিশে কত কিলো থাকে? আমি হেমতাবাদ থেকে বেরচ্ছিলাম। যা এনআইএ-সিবিআই-বলে দেয় সাংবাদিকরাও সেইটাই বলে। আমায় প্রশ্ন করছে, কালকেও ভূপতিনগরে হামলা হয়েছে। হামলা মহিলারা করেননি, এনআইএ হামলা করেছে। গদ্দার জানে হারবে। তাই কোথায় একটা চকোলেট বোম পড়েছিল ২০২২ সালে আর মধ্যরাতে যদি মহিলার বাড়িতে গিয়ে অত্যাচার করে তাহলে মেয়েরা কী করবে? শাখা-বালা পরে বসে থাকবে? না মাথায় ওড়না দিয়ে বসে থাকবে? নিজেদের সম্মান রক্ষা করবে না? আমরা চাই বিজেপি চলে যাক, বিজেপি চলে যাক, বিজেপি চলে যাক। তৃণমূল যত বেশি শক্তিশালী হবে। ইন্ডিয়া শক্তিশালী হবে। আমরা চাই বিজেপি বিদায় নিক। মোদীর গ্যারান্টি। এনআরসি করে উচ্ছেদ করো। আমরা করতে দেব না। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় কোথায় ছিল? তৃণমূল একলা লড়ে। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি একসঙ্গে লড়ে। ক্যা করবেন না।”
আরও পড়ুন-ভূপতিনগরে এনআইএ’র ভূমিকা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এখানে জলের অসুবিধা হয়। আপনারা যাকে ভোট দিয়েছিলেন সুকান্তবাবু। তিনি একবারও বলেছেন আত্রেয়ী নদীতে বাঁধ দেওয়া হল? কেন বালুরঘাটের মানুষ জল পায় না? গঙ্গা ভাঙন নিয়ে বলেছেন? ওরা বলছে দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা দিচ্ছি না। সুকান্তবাবুকে ভোট দেওয়ার আগে চ্যালেঞ্জ করছি, আপনি আর গদ্দার বললেননি? বাংলাকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া যাবে না? বাংলার বাড়ি দেওয়া যাবে না? রাস্তা দেওয়া যাবে না? আপনারা বাংলার গদ্দার। আপনারা উত্তরবঙ্গকেও ভালবাসেন না। দেখলেন তো জলপাইগুড়িতে দুর্যোগ হল। আমি মধ্যরাতে ছুটে গেলাম। যা যা দেওয়ার সব দিয়েছি। চারদিন আগে আমরা কমিশনকে পাঠিয়ে দিয়েছি। ভোট না থাকলে ত্রাণ দেওয়া আমার এক সেকেন্ডে করে দিতাম।ভোট না থাকলে ত্রাণও পাঠিয়ে দিতাম।”