স্মৃতির মহানায়িকা

সময়ের থেকে এগিয়ে ছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। যাঁর বাঁকা ঠোঁটের হাসি আজও মন কেড়ে নেয় বাঙালির। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালে থমকে যায় সময়। পর্দায় তাঁর চোখ টলটল করলে ছলছলে হয়ে ওঠে অনুরাগীদের চোখ। কিন্তু দিনের শেষে তিনিও তো সুখ, দুঃখ, হাসি-কান্নায় ঘেরা একজন সাধারণ মানুষই। কেমন ছিলেন সেই সুচিত্রা সেন? তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন এমন কিছু বিশিষ্টজনেরা বললেন সেইসব অভিজ্ঞতার কথা। শুনলেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

||| মিতা চ্যাটার্জী |||

 সুচিত্রা সেন যখন মহানায়িকা হননি বা নায়িকাও ঠিকমতো হননি। অতটা পরিচিতি তাঁর ছিল না তখন আমার ওঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়। নরেশ মিত্র মহাশয়ের ‘অন্নপূর্ণার মন্দির’ ছবিতে। ১৯৫৪ সালে রিলিজ হয় সেই ছবি। ওই ছবিতে উনি আমার বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। শিক্ষা বা যে বাতাবরণ থেকে মানুষ তৈরি হয় তার যে একটা ছাপ তখন আমি ওঁর মধ্যে লক্ষ্য করেছিলাম। মেকআপ রুমে একই সঙ্গে বসার একটা রীতি ছিল। এখন যেরকম আলাদা করে সব ব্যবস্থা করা থাকে ওই সময় এমন ছিল না। ও আমার পাশে বসেছিল। এসে নিজেই আলাপ করেছিল। যেহেতু আমি ওঁর আগে এই ইন্ডাস্ট্রিতে পা দিয়েছি সেহেতু সেই সম্মানটুকু ও প্রতিক্ষেত্রে প্রতিসময় আমাকে প্রদর্শন করত। বলত, তুমি আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র। এই কথাটা এই জেনারেশন ভাবতেই পারবে না। ওঁর শেখার ইচ্ছে, বড় হওয়ার চেষ্টা ছিল অদম্য। এই ইচ্ছেটাই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই একটা সময় ও সকলকে ছাপিয়ে গেছে। এরপর আমার ওর সঙ্গে আর কাজ করার সুযোগ হয়নি। পরবর্তীকালে ও যখন পর্দা থেকে সরে গেল আর ওর সঙ্গে যোগাযোগ করিনি কারণ আমার মনে হয়ছিল কেউ যদি স্বেচ্ছায় সরে যায় সেই জায়গায় ঢুকে তাকে নিপীড়ন করা ঠিক নয়। কিন্তু ওর মেয়ে মুনমুনের মাধ্যমে আমার ওর সঙ্গে সারাজীবন যোগাযোগ ছিল। মুনমুন আমার বাড়ি এসেছে অনেকবার। আমার স্বামী চলে যাওয়ার পর ও এসে বলেছিল, মাসি কিছু চিন্তা কোরো না আমি সবসময় আছি তোমার পাশে। এটা স্বয়ং মহানায়িকা না চাইলে মুনমুন আমাকে বলতে পারত না।

আরও পড়ুন-বার্থ সার্টিফিকেটের নিয়মে বড় বদল

||| সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় |||

 সুচিত্রা সেনের আমি কয়েকটা ছবিতে অভিনয় করলেও ওঁর সঙ্গে খুব ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলাম না। আমি ওঁর থেকে সিনিয়র, ওঁর অনেক আগে আমার ছবির জগতে আসা। তখন সুচিত্রা সেন নায়িকা হিসেবেই পরিচিতি পাননি। আমার সুচিত্রার সঙ্গে প্রথম ছবি ‘কাজরী’। ওই ছবিতে আমি নায়িকা ছিলাম। ইস্ট ইন্ডিয়া স্টুডিওতে তখন এই ছবির শ্যুটিং চলছিল। নীরেন লাহিড়ী পরিচালক। সুচিত্রা নবাগতা। লক্ষ্য করছিলাম ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারছিলেন না। একটা নার্ভাসনেস কাজ করছিল। পরিচালক একটু বিরক্ত হয়ে বলে বসলেন, ‘‍‘অভিনয়ে এসেছ কেন যদি ঠিক মতো দাঁড়াতেই না জানো!’’ তখন আমি পরিচালককে বলেছিলাম যে, ‘‍‘দাদা প্রথম এসছে তো। আমাদের সকলেরই ক্যামেরার সামনে হাত-পা কাঁপে। আপনি ধমকালে সে আরও পারবে না। তাই একটু ভাল করে বুঝিয়ে বলুন আমার মনে হয় অসুবিধে হবে না।’’ তারপর সেই শটগুলো ঠিকঠাকই হল। এরপর মেক-আপ রুমে যেতাম যখন কথা হত দু’-চারটে। ‘অন্নপূর্ণার মন্দির’ করেছি, ‘গৃহদাহ’ করেছি একসঙ্গে। এমনও হয়েছে একটা ফ্লোরে আমার ছবির শ্যুটিং চলছে আর একটা ফ্লোরে সুচিত্রার। দু’জনেই আলাদা ছবি করছি। তখন বেশ কয়েকবার আমাকে নিজের মেক-আপ রুমে ডেকে পাঠিয়েছেন। শ্যুটিংয়ে এসেই বলেছেন, ‍‘‘সাবিত্রী এলে আমার সঙ্গে দেখা করতে বোলো’’। সুচিত্রা সেন ডেকে পাঠিয়েছেন— লোকে তো ধরে আনতে বললে আমাকে বেঁধে নিয়ে আসে প্রায়! আমি যেতাম, কিছুক্ষণ কথা হত। দু’-একবার ওঁর বাড়ি গেছি, তখনও ওঁর নামডাক হয়নি। ‘অগ্নিপরীক্ষা’ থেকে ওঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তখন থেকেই একটা ঘেরাটোপের মধ্যে থাকতেন। উত্তমের সঙ্গে ওঁর খুব ভাল সম্পর্ক ছিল কিন্তু সেখানেও একটা ইগো কাজ করত। উত্তম একেবারে অন্যরকম মানুষ। অত বড় অভিনেতা কিন্তু কখনও সেই বিষয়টাই ছিল না উত্তমের মধ্যে। পরবর্তীতে সুচিত্রার সঙ্গে আমার দেখা হলে ভাল করেই কথা বলতেন কিন্তু উনি নিজে থেকে কথা না বললে আমি আগ বাড়িয়ে কথা বলতে যেতাম না কোনওদিন। কারণ খুব মুডি ছিলেন। মনে হত যদি আমার কথার উত্তর না দিয়ে চলে যান!

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর টানে জলপাইগুড়িতে জনজোয়ার

||| রঞ্জিত মল্লিক |||

 আমি যখন কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্র তখন থেকেই সুচিত্রা-উত্তমের দারুণ ভক্ত। যখনই ওঁদের জুটির ছবি আসত আমি বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে চলে যেতাম সিনেমা দেখতে। পরবর্তীতে যে কখনও উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে অভিনয় করব এটাই ভাবিনি। খুব অবাক হয়েছিলাম যখন বিষয়টা সত্যি হতে দেখলাম। আসলে হঠাৎ করেই আমার ছবির জগতে আসা। আর সুচিত্রা সেনের সঙ্গে প্রথম যে ছবিটা করছিলাম সেটা হল রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’। পূর্ণেন্দু পত্রী পরিচালক। বারুইপুরে জমিদারবাড়িতে শ্যুটিং ছিল। আমি শচীশ এবং সুচিত্রা সেন করছিলেন দামিনী চরিত্রটি। একটা শট ছিল উনি আমার পায়ে পড়ে কাঁদছেন। শটের সময় অবাক হয়ে ভাবছিলাম ওঁর জন্য আমি ছুটে ছুটে সিনেমা হলে গেছি— ব্যস অন্যমনস্ক হওয়ামাত্র পরিচালক ‘কাট্ কাট্ কাট্’ বলে চেঁচিয়ে উঠলেন। দৃশ্যটা ও-কে হয়নি।
যাই হোক ওই ছবির প্রযোজক হঠাৎ মারা গেলেন ফলে সেই ছবির শ্যুটিং আর কমপ্লিট হয়নি। এর বেশ কিছুদিন পর যে ছবিটা করলাম সেটা হল ‘দেবী চৌধুরাণী’। পরিচালক দিনেন গুপ্ত। সুচিত্রা সেন বলুন বা উত্তমকুমার, দু’জনের মধ্যে একটা জিনিস খুব কমন ছিল সেটা হল ভীষণ ডেডিকেশন। ‘দেবী চৌধুরাণী’ করতে গিয়ে আমার একটু হেজ়িটেশন ছিল। ওই রকম নামডাক যাঁর, তাঁর সঙ্গে এমন একটা ছবি। খুব আড়ষ্ট ছিলাম, একদম নতুন আমি। কিন্তু উনি সেটা বুঝেছিলেন এবং অভিনয় নিয়ে আড়ষ্টতা কাটিয়ে দিয়েছিলেন নিজে থেকেই। একবার মনে আছে একটা শটে কান্নার দৃশ্য ছিল। তো উনি পরিচালককে জিজ্ঞেস করলেন, এই যে এতগুলো লাইন রয়েছে এখানে, কোন সময় চোখে জল এলে বিষয়টা ঠিকঠাক হবে তখন দীনেনদা একটু ভেবে, দেখে নিয়ে বললেন, ‍‘সাতনম্বর লাইনে যদি আপনার চোখটা টলটল করে ওঠে ভাল হয়।’ উনি বললেন, ‘ঠিক আছে।’ খুব অদ্ভূত ভাবে ঠিক সাতনম্বর লাইনটা বলার সময় দেখলাম ওঁর চোখটা জলে ভরে গেছে। দেবী চৌধুরাণীর পর একটা ছবি হয়েছিল যেটা ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’। ওই ছবিটা হতে গিয়ে বন্ধ হয়ে গেল কারণ দু’জন পরিচালক একই ছবি শুরু করেছিলেন। কাজেই আলাপ বলুন বা চেনা পরিচয় ওই একটা ছবির থেকেই। শ্যুটিংয়ের বাইরে উনি মিশুকে একেবারেই ছিলেন না। গাম্ভীর্যটা সবসময় বজায় রাখতেন। শট নিয়ে যতটুকু কথা না বললে নয় ঠিক ততটুকুই কথা বলতেন। বাদ বাকি সময় নিজেকে সরিয়ে রাখতেন তাই ঘনিষ্ঠতা বা গল্প-আড্ডার সুযোগ কোনওদিন হয়নি। একটা ঘেরাটোপের মধ্যে থাকতে পছন্দ করতেন। তবে লক্ষ্য করেছিলাম উনি অনেক হাতের কাজ জানতেন। অথচ উত্তমকুমার ওঁর থেকে একদম আলাদা ছিলেন। খুব সহজভাবে মিশতেন সবার সঙ্গে।

আরও পড়ুন-সুচিত্রায়ন

||| কল্যাণী মণ্ডল |||

 সুচিত্রা সেনের সঙ্গে একটা ছবিতেই কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। ছবির নাম ‘আলো আমার আলো’। তখন উনি মহানায়িকা আর আমি একদম নতুন। ওঁর স্টারডমটা বুঝিনি। তখন বয়সটাও অনেক কম ছিল। শ্যুটিংয়ের শুরুর দিকে একেবারেই পছন্দের চোখে দেখতেন না আমাকে। কিন্তু তারপর হঠাৎই একদিন জিজ্ঞেস করলেন, কেমন আছি, ব্রেকফাস্ট করেছি কি না। শটের সময় কখনও বলতেন আমাকে ধরে অভিনয় করবে না আবার কখনও বলতেন আমাকে জড়িয়ে ধরে সংলাপ বল! এইরকম মুডি ছিলেন। মনে আছে ‘আলো আমার আলো’তে একটা গানের দৃশ্য যেখানে সুচিত্রা সেন লিড এবং আমরা চার ভাইবোন পাশে বসে লিপ দেব। ‘বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা’ গানটা শেষ হতেই পরিচালক বললেন, ‍‘‘আমি এই গানটা আর একবার নেব।’’ তখন উনি পাল্টা প্রশ্ন করলেন, কেন। পরিচালক বললেন, ‘‍‘কল্যাণীর লিপটা মেলেনি।’’ তখন সুচিত্রা সেন বললেন, ‍‘‘না, ও তো ঠিকমতোই লিপ দিয়েছে।’ পরিচালক তা সত্ত্বেও বললেন, ‘‍‘না আর একবার নিয়ে নিই।’’ সুচিত্রা সেন কিছু বললেন না শুধু ‘ওকে’ বলে বেরিয়ে চলে গেলেন মেক আপ রুমে। আমি সেটেই বসে রয়েছি। এরপর সবাই এক এক করে ওঁর মেক আপ রুমে যায় আর ফিরে আসে। পরিচালক এসে আমাকে বললেন, ‍‘‘তুই যা গিয়ে বল দিদি আমার ভুল হয়েছে, আমি ওই শটটা আর একবার দিতে চাই।’’ আমি বুঝিনি চলে গেছি। বললাম। উনি আমার কথা শুনে গম্ভীরভাবে বললেন, ‍‘‘হ্যাঁ ঠিক আছে তুমি যাও, আমি দেখছি।’’ আমার তো ভয় লাগছিল। চলে এলাম। এর আধ কি এক ঘণ্টা পরেই দেখলাম ডিরেক্টর প্যাক আপ করে দিলেন। জানতে পারলাম, উনি নাকি সোজা বেরিয়ে চলে গেছেন বাড়ি। সেদিন কোনওভাবেই শটটা উনি দিলেন না। কিন্তু গানটা দেখলে সত্যি বোঝা যায়নি যে আমার লিপ মেলেনি। হয়তো ওঁর মনে হয়েছিল আবার শট নেওয়ার দরকার পড়বে না বা আমার ভুলের জন্য উনি আবার কেন শট দেবেন। এতটাই নিজের জায়গায় অনড় থাকতেন। উত্তমকুমারের সঙ্গে আমি অনেক বেশি কাজ করেছি উনি কিন্তু একেবারেই এমন ছিলেন না। ভুল করলে কাছে ডেকে পাশে বসিয়ে ভুলটা শুধরে দিতেন। উত্তমকুমারের সঙ্গে খুব ভাল বন্ধুত্ব ছিল সুচিত্রা সেনের কিন্তু টেকনিশিয়ানদের কাছ থেকে শুনেছি যদি উত্তমকুমার দশ মিনিট দেরি করে সেটে ঢুকতেন তাহলে পরের দিন সুচিত্রা সেন আধঘণ্টা দেরি করে শ্যুটিংয়ে ঢুকবেন। অভিজাত পরিবারের মেয়ে, প্রচুর নামডাক, ভালবাসা পেয়েছেন, অজস্র অনুরাগী। আমার মনে হয় এই কারণে হয়তো দাম্ভিক ছিলেন একটু।

আরও পড়ুন-রাজ্যে শুরু ভোটগ্রহণ, ভোট দেবেন প্রায় ১২ হাজার মানুষ

||| লিলি চক্রবর্তী |||
 আমি সুচিত্রা সেনের সঙ্গে একটা ছবিতেই অভিনয় করেছি। ছবির নাম বিপাশা। ওই ছবিতে ওঁর বান্ধবীর চরিত্রটা করেছিলাম। একজন মহারাষ্ট্রিয়ান মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করি। তখন আমি একদম নতুন মুখ। আমার সাহস ছিল না ওঁর সঙ্গে কথা বলার। খুব বেশি কথা উনি বলতেনও না কখনও। নিজেকে একটু আলাদা রাখতেই পছন্দ করতেন। বিশেষ করে নতুনদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ওঁর আগ্রহ একেবারেই ছিল না। ছবিতে কয়েকটাই সিন ছিল আমাদের। আমি নিজেই পরিচয় দিয়েছিলাম, আমার নাম লিলি। আমি আপনার বান্ধবীর রোলটা করছি। উনি একটু হেসেছিলেন— ব্যাস ওই পর্যন্তই আর কোনওদিন একটাও বেশি কথা নিজে থেকে বলেননি। একটু মুডি এবং দাম্ভিক প্রকৃতির ছিলেন। খুব চেনা এক-দুজন ছাড়া কোনও সাংবাদিকের ওঁর শ্যুটিং ফ্লোরে ঢোকার অনুমতি ছিল না। উনি ঠিক আমাদের মতো না। উত্তমদার সঙ্গে খুব ভাল বন্ধুত্ব ছিল সুচিত্রা সেনের। ফ্লোরে হাসিঠাট্টা করতেন ওনারা। আমি বা আমরা তখন দূরেই থাকতাম কিন্তু উত্তমদা ব্যক্তিগত ভাবে একেবারেই আলাদা মানুষ ছিলেন। আমি উত্তমদার সঙ্গে বেশি ছবি করেছি। প্রথম ছবি ‘দেয়া নেয়া’। ছবিটা করতে গিয়ে আমার মনেই হয়নি আমি নতুন। একটা খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছিল একবার সুচিত্রার সেনের সঙ্গে। আমি দক্ষিণেশ্বরে গিয়েছিলাম। উনি খুব যেতেন দক্ষিণেশ্বরে। তখন মুনমুন বেশ ছোট। আমি বেরোচ্ছি আর উনি সামনে থেকে আসছেন সঙ্গে কয়েকজন ছিলেন। উনি আমার দিকে তাকালেন, দেখলেন কিন্তু না-চেনার ভান করে অন্য যাঁরা ছিল তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে পাশ দিয়ে চলে গেলেন। আমি সেদিন নিজে থেকে কথা বলিনি। কারণ বুঝেছিলাম উনি আমাকে এড়িয়ে গেলেন।

Latest article