সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : একতরফা লড়াই, তবু মানুষের কাছে তো যেতেই হবে! সেই যাতায়াতের সুবাদে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া নাগরিক পরিষেবাগুলির সুযোগ সকলে পাচ্ছেন কি না, তা খোঁজ নিচ্ছেন কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া। এবার নিজের এলাকায় (Purulia- Panchayat ELection) জেলা পরিষদের একটি আসনে প্রার্থী তিনি। জয় নিশ্চিত। তবু থমকে থাকছে না জনসংযোগ। কাশীপুর এলাকার যে কোনও মানুষের সঙ্গে কথা বললেই উঠে আসছে উন্নয়নের কথা। বিধায়ক থাকাকালীন স্বপন বেলথরিয়া এলাকার ফুটবল খেলোয়াড় মেয়েদের নিয়ে একটি মহিলা ফুটবল অ্যাকাডেমি গড়েছিলেন। এখন তিনি বিধায়ক নন, তবু অ্যাকাডেমি চলছে। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে কাশীপুর গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অ্যাকাডেমির মেয়েদের আর্থিক পুরস্কার দিয়েছেন। প্রাক্তন বিধায়কের চেষ্টায় রঞ্জনডি গ্রামে গড়ে উঠেছে যোগমায়া সরোবর পর্যটনক্ষেত্র। তিনি গড়েছেন বহু রাস্তা, জলাশয়। মাজুরামুড়া গ্রামে চিত্রকর পরিবারগুলিকে তিনিই তুলে এনেছেন পাদপ্রদীপের আলোয়। দুর্গাপূজা থেকে ইদ, উৎসব এলেই দুঃস্থদের বস্ত্র উপহার দেন তিনি। তাই পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়ে নিজের পক্ষে প্রচার চাইছেন না তিনি। কর্মীদের বলে দিয়েছেন প্রচার হোক মুখ্যমন্ত্রীর নামে। তাই কাশীপুর জুড়ে দেওয়াল লিখনে উন্নয়নের বার্তা, রাজ্য জুড়ে সব তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট (Purulia- Panchayat ELection) দেওয়ার বার্তা। স্বপন বলেন, মানুষ শুধু ভাবুন, এত ধরনের পরিষেবা আর কোন রাজ্য কী দিয়েছে! যাঁরা আবেদন করেও কোন কারণে পরিষেবা পাননি, তাঁরা আসছেন।
আরও পড়ুন- ছোট-মাঝারি ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে উদ্যোগ রাজ্যের