প্রতিবেদন : বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের বিশেষ সিভিক ভলান্টিয়ার পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। চলতি বছরেও জঙ্গলমহলের এমন ৫৮ জন তরুণ ক্রীড়াবিদকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরিতে নিযুক্ত করল রাজ্য। একদা মাওবাদী প্রভাবিত জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলার তরুণ প্রজন্ম যাতে বিপথগামী না হয়ে পড়ে তা নিশ্চিত করতে এবং রানার্স আপ দলের খেলোয়াড়দের সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরিতে নিযুক্ত করে রাজ্য।
আরও পড়ুন-উধাও চিনা বিদেশমন্ত্রী বরখাস্ত করলেন শি
মঙ্গলবার সকালে ট্যুইট করে নিজেই একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে রাজ্য সরকার এখন জঙ্গলমহল কাপ, সৈকত কাপ এবং রাঙামাটি ক্রীড়া উৎসবে আরও ৫৮ জন বিজয়ী এবং রানার্স আপ অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ ক্যাটাগরির সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে এবং এইভাবে, সফল তরুণ ক্রীড়া প্রতিভাদের মধ্যে থেকে এই ধরনের সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের মোট সংখ্যা ৪,৪৩২-এ পৌঁছেছে। এক দশক আগে জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙত বোমা, গুলির আওয়াজে। বারুদের গন্ধে ভারী হয়ে থাকত তল্লাটের বাতাস। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে শুরু করে মাওবাদী ও তদানীন্তন জনসাধারণের কমিটির একাংশ নেতা। আত্মসমর্পণের বিনিময়ে মেলে সরকারি চাকরিও। জঙ্গলমহলের যুবকদের নতুন করে কেউ যাতে বিপথে পরিচালিত করতে না পারে, সম্ভবত সেই কারণেই বাংলার তখতে দ্বিতীয়বার বসার পর ২০১৬-১৭ সাল থেকে প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেমেয়েদের ক্রীড়ার প্রতি উৎসাহিত করে তুলতে একাধিক জঙ্গলমহল কাপ-এর আয়োজন করে রাজ্য।
আরও পড়ুন-নারীনিগ্রহে দেশে এগিয়ে যোগীরাজ্য
তাতে বিপুল সাড়া দেখে ধীরে ধীরে রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও সরকারি উদ্যোগে শুরু হয় ক্রীড়া টুর্নামেন্ট। সেগুলি হল, হিমাচল-তরাই-ডুয়ার্স ক্রীড়া উৎসব, সুন্দরবন কাপ, সৈকত কাপ, কোচবিহার কাপ, ক্ষেত-নদী উৎসব, জলতরঙ্গ ক্রীড়া উৎসব, রাঙামাটি ক্রীড়া উৎসব। এরপরই বিজয়ীদের সিভিক ভলান্টিয়ারের পদে নিয়োগ করে কর্মসংস্থানেরও বিকল্প পথ তৈরির উদ্যোগ নেয় রাজ্য। আগামী দিনেও সরকারের এই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।