আজ থেকে টানা এক মাস মহিলা তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু

বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে ইন্ডিয়া জোট। মঙ্গলবার সংসদ শুরুর আগে মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘরে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে ইন্ডিয়া জোট। মঙ্গলবার সংসদ শুরুর আগে মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘরে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূল কংগ্রেস এই অনাস্থা প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন-উধাও চিনা বিদেশমন্ত্রী বরখাস্ত করলেন শি

ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের দাবি, যেভাবে ক্রমাগত প্রধানমন্ত্রী সংসদকে এড়িয়ে চলছেন, তাতে অনাস্থা প্রস্তাব এনে প্রধানমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে বাধ্য করা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই। মণিপুর নিয়ে সংসদের বাইরে যেমন আন্দোলন ধরনা চলবে, একইসঙ্গে সংসদের অন্দরেও বিজেপি সরকারের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়িয়ে যাওয়া হবে, সিদ্ধান্ত ইন্ডিয়া জোটের।

আরও পড়ুন-কৃষিভিত্তিক শিল্পে ২৩০০ কোটি বিনিয়োগ

রীতি অনুযায়ী, অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে অন্তত ৫০ জন সাংসদদের সমর্থন থাকতে হবে। বুধবার ৯.৫৫টার মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবের খসড়া অধ্যক্ষের টেবিলে জমা দেবে ইন্ডিয়া জোট। কারণ, অনাস্থা প্রস্তাব আনতে গেলে সকাল ১০টার মধ্যে প্রস্তাব জমা দিতে হয়। অনাস্থা প্রস্তাবের পর তা নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হয় লোকসভার অধ্যক্ষকে। সেক্ষেত্রে কোনও পক্ষপাতিত্ব করা যায় না। অনাস্থা প্রস্তাবের পাশাপাশি আরও বেশি করে মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিশ দেওয়ার কৌশল নিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। মঙ্গলবার মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য মোট ৫০টি নোটিশ জমা হয়। বুধবার ৭০টি নোটিশ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিরোধীদের।

আরও পড়ুন-ত্রিপুরা বিজেপিতে গৃহযুদ্ধ চরমে, ২২ গজেও শাসক দলের দ্বন্দ্বের ছায়া

মঙ্গলবার লোকসভা সচল ছিল সন্ধ্যা ৫.৫৫টা পর্যন্ত। এদিন সমবায় এবং বায়োডাইভারসিটি বিল দুটি পাশ করিয়ে নেয় সরকার। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বক্তব্যের সময়েও স্লোগান অব্যাহত ছিল বিরোধীদের। দুটি বিলের কোনওটিতেই বিরোধী শিবিরের কোনও নেতাকে বলতে দেখা যায়নি। এদিন রাজ্যসভায় মল্লিকার্জুন খাড়গে বলতে উঠলে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওয়াকআউট করে ইন্ডিয়া জোট। এই ধরনা চলবে বলে জানিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। ডেরেক ও’ব্রায়েনের বক্তব্য, রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতার মাইক অফ। ঘন অন্ধকার কক্ষে পরিণত হয়েছে সংসদ।

আরও পড়ুন-জখম বালককে আর্থিক সহায়তা মন্ত্রীর

মাত্র দু’দিনে ৭০০ মায়ানমারের দুষ্কৃতীর অনুপ্রবেশ মণিপুরে। বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে মণিপুর। নারকীয় হত্যা, ধর্ষণ, বাড়ি পোড়ানো, জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া এরকম একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। এরই মধ্যে ২২ এবং ২৩ জুলাই মণিপুরের হিংসা নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সরকারি তথ্য অনুযায়ী সেই দিনই ৭০০-র বেশি মায়ানমারের নাগরিক অনুপ্রবেশ করে ঢুকেছে মণিপুরে। তাঁদের হাত ধরেই কি অস্ত্র ঢুকেছে রাজ্যে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অসম রাইফেলসের নজরদারির মধ্যে কীভাবে এত সংখ্যক অনুপ্রবেশ ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী সাংসদরা। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার প্রশ্ন তুলেছেন, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। একটা রাজ্য টানা তিনমাস ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকে নিয়ে এমনিতেই বেশি করে সচেতন থাকা উচিত সরকারের। মণিপুরের আঁচ আগেই পড়েছিল। এবার মেঘালয়েও ডাবল ইঞ্জিন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে ঘেরাও করে রাখা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই গারো-খাসি সহ একাধিক জনজাতি গোষ্ঠীর বিভিন্ন দাবিদাওয়ায় কর্ণপাত করেনি সরকার। তুরায় শীতকালীন রাজধানী সরিয়ে আনার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে হামলা চালানো হয়। আহত হয় মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচ নিরাপত্তারক্ষী।

Latest article