পার্ক সার্কাস ময়দানে ‘সংহতি যাত্রা’র মঞ্চে আজ মুখ্যমন্ত্রীর পাশে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও শীর্ষ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আজ রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার বিশেষ দিনে কলকাতার রাজপথে সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সর্ব ধর্মের মানুষদের পাশে নিয়ে এদিন তিনি প্রথমে কালীঘাটের মন্দিরে গিয়ে পুজো করেন। তার পরে একে একে গুরুদ্বার, মসজিদ এবং গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন-‘ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে গরিবদের বলি দেবেন না’ আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর
তাঁদের সঙ্গে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছন পার্ক সার্কাস ময়দানে সংহতি মিছিলের সভা মঞ্চে। সেখান থেকেই এদিন তিনি রামমন্দির প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে যা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রাম হচ্ছে এমন প্রচার শুরু হয়েছে। কিন্তু এর পরের দিন থেকে কী হবে?’ রামমন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র অনুষ্ঠানে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেন, ‘খাবার পয়সা দেয় না। রাস্তার পয়সা দেয় না। বাংলা থেকে করের টাকা তুলে নিয়ে চলে যায়। আর আজ দেখুন সব জায়গায় এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে, সাজিয়ে গুছিয়ে কী করেছে। আমি বলব, গরিবদের বলি দিয়ে ধর্ম করবেন না।’
আরও পড়ুন-‘ধর্মের নামে ভোট দেবেন না, কর্মের জন্য ভোট দিন’ বার্তা অভিষেকের
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি রামের বিরুদ্ধ নই। রাম-সীতাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তোমরা তো কই সীতার কথা বল না! তোমরা কি নারীবিরোধী? সীতা না থাকলে রাম হয় না। আর কৌশল্যা দেবী না থাকলে, মা না থাকলে রামের জন্ম হয় না। মায়েরাই জন্ম দেয়। ১৪ বছর বনবাসে সীতাই রামের সঙ্গে ছিলেন। আবার তাঁকে নিজেকে প্রমাণ করতে অগ্নিপরীক্ষাও দিতে হয়েছিল। আমরা জানি। আমরা তাই নারীশক্তি দুর্গার পুজো করি। রামই সেই দুর্গার পুজো করেছিলেন রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার আগে। ওরা বলছে, ওদের যা ইচ্ছে হবে, ওরা তাই করবে। একটা কথা মনে রাখবেন, বিজেপিকে সাহায্য করা যাবে না। বিজেপিকে কেউ সাহায্য করলে, আপনাদের কেউ ক্ষমা করবে না। আমি তো ক্ষমা করবই না। আমাদের কাছে লড়াইয়ের সাহস আছে, কিন্তু আমাদের লড়াই করতে দেওয়া হয় না।’
আরও পড়ুন-কালীঘাটে পুজো দিয়ে সংহতি যাত্রার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
লড়াইয়ের প্রসঙ্গ তুলে আজ সংহতি যাত্রার মঞ্চে তিনি বলেন, ‘আমাদের সাহস আছে। আজ তো আমরা মিছিল করলাম। সাহস দেখলাম। এতগুলো রাজনৈতিক দল আছে। কে কী সাহস দেখাল? আমরা তো মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার… সব ধর্মীয় স্থানে গিয়েছি। আমরা চাই হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান, সবাই একসঙ্গে ভাইয়ে-ভাইয়ে মিলেমিশে থাকুক।’