‘ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে গরিবদের বলি দেবেন না’ আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

পার্ক সার্কাস ময়দানে আজ মুখ্যমন্ত্রীর ‘সংহতি যাত্রা’র (Sanghati Yatra) মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন সমস্ত সবধর্মের প্রতিনিধিরা।

Must read

পার্ক সার্কাস ময়দানে আজ মুখ্যমন্ত্রীর ‘সংহতি যাত্রা’র (Sanghati Yatra) মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন সব ধর্মের প্রতিনিধিরা। পাশে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন মঞ্চ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-‘ধর্মের নামে ভোট দেবেন না, কর্মের জন্য ভোট দিন’ বার্তা অভিষেকের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে সবকিছু সিপিআইএম নিয়ন্ত্রণ করে। যে সিপিআইএমের সঙ্গে ৩৪ বছর লড়াই করেছেন, তার কোনও পরামর্শ তিনি যে শুনবেন না সেই কথাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। কংগ্রেসের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেই রাজ্যে সেই দল লড়াই করা প্রয়োজন। ৩০০টি আসনে কংগ্রেসের লড়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। এদিন জোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ আমি দিয়েছি, অথচ বৈঠকে সম্মান পাই না। সিপিএম বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক নিয়ন্ত্রণ করে। আমি সেটা মানব না। আগুন জ্বালানো সহজ, নেভানো সহজ নয়।’

আরও পড়ুন-কালীঘাটে পুজো দিয়ে সংহতি যাত্রার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ মঞ্চ থেকে বাবরি মসজিদ প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল, আমি একা পথে নেমেছিলাম। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, কোনও প্রয়োজন আছে কি না। ভয় না পেয়ে সমস্ত জায়গায় গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছিলাম। এসব অনেকে ভুলে গিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নেতাজির জন্মদিনে ওদের ছুটি দেওয়ার কথা বলেছিলাম। দেয়নি। আর আজ ওরা ছুটি চাইছে। ছুটি দিচ্ছে। কারণ আজ নাকি ওদের স্বাধীনতা দিবস। একটা লড়াই শুরু হয়েছে। আর এই লড়াই চলবে। আমরা ভয় না পেয়ে লড়ব। আমরা কাপুরুষ নয়। তাই আমরা লড়ব।’

আরও পড়ুন-অসমের মন্দিরে ঢুকতে বাধা রাহুলকে, ধর্নায় সাংসদ

এদিন মঞ্চ থেকে বাম নেতৃত্বকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’৩৪ বছরে একটা মাদ্রাসা করেনি সিপিআইএম। কোনও কবরস্থান করেনি সিপিআইএম। কোনও শশ্মান করেনি। দুর্গাপুজোয় যেত না সিপিআইএম। তারা নাকি নাস্তিক।’ মমতা বলেন, ‘ববি জানে যে আমিও রোজা রাখি। বাংলাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। কে, কী খাবে সেটাও ওরা ঠিক করে দেবে? ভোটের আগে ধর্মে উসকানি দেওয়া হচ্ছে।
জয় বাংলা, জয় সম্প্রীতি। সব ধর্ম ভাই ভাই। দেশকে ভাগ করতে দেব না। আমরা শান্তি চাই।’

Latest article