মোহনবাগানের খেলা হলেই মুখ্যমন্ত্রীর মা কালীবাড়িতে পুজো পাঠাতেন, ক্লাব তাঁবু উদ্বোধনে নস্টালজিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

২৯ জুলাইয়ের পরে ফের উৎসবের মরশুম চলছে গঙ্গাপাড়ের সবুজ মেরুন ক্লাবে । এদিন নতুন মোহনবাগান তাঁবু উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

Must read

বুধবার গোষ্ঠ পাল সরণিতে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেজে উঠছে মোহনবাগান তাঁবু। ২৯ জুলাইয়ের পরে ফের উৎসবের মরশুম চলছে গঙ্গাপাড়ের সবুজ মেরুন ক্লাবে । এদিন নতুন মোহনবাগান তাঁবু উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

৫৮ বছর পর অত্যাধুনিক মোহনবাগান তাঁবুর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banarjee)। তাঁর মায়ের কথা এদিন তিনি খুব মনে করলেন। তিনি বলেন, মোহনবাগান (Mohanbagan) বললেই মায়ের কথা মনে পড়ে। কারণ, তিনি ছিলেন মোহনবাগানের সমর্থক। তবে, এখন সব বদলে গিয়েছে বলে মন্তব্য করে মমতা বলেন, তাঁর একভাই দাদা এখন ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। আর মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং কোন দলের সমর্থক? মমতা জানান, তিনি মোহনবাগানের পাশাপাশি মহামেডান ক্লাবের সমর্থক। ছোট যে সব ক্লাব রয়েছে তিনি তাদের পাশে আছেন।

আরও পড়ুন-সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকায় থাকা বিরোধীদের নাম প্রকাশ্যে আনল তৃণমূল কংগ্রেস

এদিনর অনুষ্ঠানে নস্টাজিক হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, তাঁর ছোটবেলায় কিংবদন্তি ফুটবল তারকা পেলে এসেছিলেন খেলতে। হঠাৎ মমতা দেখেন তাঁর মা কালীবাড়িতে পুজো পাঠাচ্ছেন। মোহনবাগানের খেলা হলেই মুখ্যমন্ত্রীর মা কালীবাড়িতে পুজো পাঠাতেন আর খেলার সময় রেডিও নিয়ে বসে পড়তেন। সেইসব দিনের কথা স্মরণ করে মমতা বলেন, শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগান খেলার মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবোধের সঞ্চার ঘটিয়েছিল। বাংলায় নবজাগরণের জন্ম। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল ফুটবল খেলা। মোহনবাগানের ইতিহাস কেউ ভুলবে না বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে সবাইকে অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগান ক্লাবেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা। “ক্লাবগুলোকে কেন্দ্র করে খেলাধুলা, সংস্কৃতি সব হয়। মোহনবাগানের তুলনা সে নিজেই। মোহনবাগানের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি।” এদিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোহনবাগান ক্লাবের আজীবন সদস্য পদ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-বিজেপি-শাসিত হরিয়ানায় জাতীয় পতাকা কেনার নামে দরিদ্রদের লুট, নাহলে বন্ধ রেশন

বিধানসভা নির্বাচনের আগে জয়প্রিয় হয় তৃণমূলের “খেলা হবে” স্লোগান। সেই স্লোগানের কথা তুলে মমতা বলেন, “খেলা হবে কেন বলেছিলাম? জীবনটাই তো খেলার। জন্ম হবে জানি, মৃত্যু কবে জানি না। যতদিন বেঁচে থাকব জীবনটাই খেলতে খেলতে কেটে যাবে।“ রাখী পূর্ণিমার আগে ‘দিদি’ হিসেবে ক্লাবকে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদানও ঘোষণা করেন মমতা। একই সঙ্গে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ী অচিন্ত্য শিউলিকে ৫ লক্ষ টাকা এবং ব্রোঞ্জ জয়ী সৌরভকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা। নতুন করে সেজে ওঠা এই সবুজ-মেরুন তাঁবুরই উদ্বোধনে সবুজ-মেরুন পাড়ের শাড়ি পরে পৌঁছেছিলেন তিনি। ঢাক বাজিয়ে তাঁকে ক্লাবে স্বাগত জানানো হয়। ক্লাবের খুদে সমর্থকদের সঙ্গে ছবিও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Latest article