নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : সকাল থেকে রাত নিত্যব্যবহার্য জিনিস-সহ মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় নাজেহাল ভারতবাসী। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এভাবেই মোদি সরকারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার জন্য আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন-অমানবিক চিত্র
বিরোধীদের ধারাবাহিক চাপ এবং বিক্ষোভের সামনে মাথা নত করে গত বাজেট অধিবেশন এবং এবারের বাদল অধিবেশন মিলিয়ে মোট ৩৮ দিন পর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় রাজি হয় মোদি সরকার। তারপর এই ইস্যুতে বলতে উঠে ডেরেক ও’ব্রায়েন কটাক্ষ করে বলেন, সকালের টুথপেস্ট থেকে শুরু করে বাচ্চার দুধ, সরকারের জিএসটির ধাক্কায় প্রাণান্তকর অবস্থা দেশবাসীর। এমনকী বাচ্চাদের পড়াশুনার পেন্সিল থেকে ইরেজার সবেতেই ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপিয়েছে এই সরকার। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘চিঁড়ে-মুড়ি-বাতাসা, মোদি- শাহ তামাশা।” তৃণমূল সাংসদ বলেন, দেশের অর্থমন্ত্রীর কাছে তিনটি নম্বর রয়েছে ২০, ৭ এবং ২৯। যার যোগফল দাঁড়ায় ৫৬।
আরও পড়ুন-নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সরব তাঁর ভাই প্রহ্লাদ
তিনি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেন, দশবছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার সেস এবং সারচার্জ বাবদ আদায় করত ১০ শতাংশ, এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ। সেইসঙ্গে দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার ৭ শতাংশ এবং দেশের ২৯ শতাংশ যুবকের চাকরি নেই। যে পরিসংখ্যান খোদ সরকারই লোকসভায় পেশ করেছে বলে দাবি ডেরেকের।
আরও পড়ুন-জলের বদলে বিষপান!, কেন্দ্রের তথ্যেই উঠে এল ভয়াবহ চিত্র
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তিনি এলপিজি গ্যাসের সাবসিডি নিয়েও তোপ দাগেন। পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ২০১৯ সালে যেখানে সাবসিডি ছিল ২৪ হাজার কোটি, ২০২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪০ কোটিতে। এই পরিস্থিতিতেও বাংলার সরকার যেভাবে গরিব মানুষের জন্য কাজ করছে তা বোঝাতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন ‘মা’ ক্যান্টিনে ৫ টাকায় ভরপেট খাবার পাওয়ার প্রকল্পটি। কৃষকদের ক্ষেত্রে বাংলার মডেল অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তিনি মোদি সরকারকে। তুলে ধরেন বাংলার লক্ষীর ভাণ্ডারের কথাও। এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর জবাবি ভাষণের সময় রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তৃণমূল সাংসদরা।