কলকাতায় হয়ে গেল গণপ্রজাতুৰ্ধী চীনের প্রতিষ্ঠার ৭৩তম বার্ষিকী দিবস উদযাপন

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়, জহর রায়, মারিয়া ফার্নান্দেজ, মুহাম্মদ নাদিমুল হক। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একটি উষ্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে তৈরী হয়।

Must read

শ্রেয়া বসু: বুধবার কলকাতায় চীনের কনস্যুলেট জেনারেল পশ্চিমবঙ্গে গণপ্রজাতুৰ্ধী চীনের প্রতিষ্ঠার ৭৩তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কলকাতায় এদিনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চীনা কনস্যুলেট জেনারেল মিঃ ঝা লিউ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধি জনাব অনুরাগ শ্রীবাস্তব (আইএএস), ললিত কলা একাডেমির প্রাক্তন চেয়ারম্যান জনাব কল্যাণ কুমার চক্রবতী, বিজু জনতা দলের সাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রিয়দর্শী মিশ্র, ভারতের প্রাক্কন ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের ডিরেক্টর মিঃ মনমীত সিং গোইন্দি প্রমুখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা জহর সরকার, সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, সাংসদ নাদিমুল হক। এছাড়া ছিলেন ফুয়াদ হালিম ও সায়রা শাহ হালিম। সেদিন এই মঞ্চে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের ভাইস চেয়ারম্যান ডক্টর মারিয়া ফার্নান্ডেজ টেকনো ইন্ডিয়া সিইও ডক্টর সুজয় বিশ্বাস প্রমুখ। ব্যবসা বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুল,বিভিন্ন দূতাবাস চিনা সম্প্রদায় চিনা সংস্থা ইত্যাদির প্রতিনিধিদের মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জন জমায়াত হয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একটি উষ্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে তৈরী হয়।

আরও পড়ুন-বৃহত্তম সাইবার হানার শিকার অস্ট্রেলিয়া

মিঃ ঝা এদিন বলেন, ‘৭৩ বছর আগে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার পর থেকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে চিনা জনগণ কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এমন একটি উন্নয়নের পথ খুঁজে বের করার জন্য সংগ্রাম করেছে যা চীনের জাতীয় তার জন্য উপযুক্ত। আজকের চিনি জনগণের বিশ্বাস আছে,জাতির আশা আছে এবং দেশের শক্তি আছে।’

তিনি এও বলেন, এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সভা| আজ সমস্ত জাতিগোষ্ঠীর জনগণ সর্বাত্বকভাবে একটি আধুনিক সমাজতাত্ত্বিক দেশ গড়ার জন্য নতুন যাত্রা শুরু করছে।

আরও পড়ুন-পুজোয় টানের আশঙ্কা পদ্মে

এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে, কলকাতা চাইনিজ লায়ন ড্যাস টিম একটি চমৎকার ঐতিহ্যবাহী চীনা সিংহ নৃত্য পরিবেশন করে। অভ্যর্থনাকালে চীনের উন্নয়ন সাফল্য, সুন্দর দৃশ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের প্রচারমূলক ভিডিওও সম্প্রচার করা হয়।চীন ও ভারতের মধ্যে বন্ধুতৃপূর্ণ আদান-প্রদানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল পণ্যের একটি সিরিজ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি সিপিসি প্রতিষ্ঠার শতাব্দীর জন্য সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল পণ্যের পরিবেশন করা হয়।

প্রসঙ্গত অন্যদিকে সবরকম জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গৃহবন্দি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শেষ পর্যন্ত ইতি মঙ্গলবার জনসমক্ষে এসেছেন। চিনা সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল CCTV-তে সম্প্রচারিত হয়েছে প্রেসিডেন্টের ছবি। এদিকে কলকাতার এই অনুষ্ঠানে বিলি করা হয়েছে জিনপিং এর বই।

Latest article