বাংলায় প্রকল্প নিয়ে ভুয়ো দাবি মোদির! তথ্য দিয়ে ফাঁস করলেন মুখ্যমন্ত্রী

Must read

নির্বাচন এসেছে তাই আবার বাংলায় ডেলিপ্যাসেঞ্জারি শুরু বিজেপির। মার্চের প্রথম দুদিন রাজ্য সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। জানান, কেন্দ্র না কি প্রকল্পের টাকা দিয়েছে। সোমবার, তমলুকে সরকারি পরিষেবা অনুষ্ঠান ও সভা থেকে তথ্য দিয়ে ফাঁস করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২০১৪ থেকে ২৪- কেন্দ্র রাজ্যকে কত টাকা দিয়েছেন তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলে গেলেন ৪৭ কোটি টাকা দিয়ে গিয়েছেন। আমরা না কি সব খেয়ে নিয়েছি!” এর পরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত রাজ্যকে দিয়েছে ২৯৮৩৪ কোটি টাকা রাজ্য সরকার দিয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ। ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪ কোনও টাকা দেয়নি।“ এই অর্থবর্ষে যে ৪৩ লক্ষ বাড়ি তৈরি হয়েছে, তার সবটাই রাজ্যের টাকায় তৈরি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু টাকা দেয়নি। এরপরেই ফের মমতা ঘোষণা করেন, মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করব। কেন্দ্র টাকা না দিলে নিজেদের টাকা দিয়ে ১০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করব। শুধু ১০০ দিনের টাকা বা আবাসই নয়, রাস্তার, OBC স্কলারশিপ, সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র- সব প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন- স্কুলশিক্ষায় বেশি পকেটমারি করেছে কে? মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় গদ্দার

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১২ বছর ধরে দয়া চেয়েছি, আর না। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে আমরাই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করে দেব।“ বিজেপি নেতাদের নাম না করেন মমতা বলেন, “দিল্লি থেকে কিছু লোক ভোটের সময় আসে। মানুষ মরে গেলেও পাত্তা পাওয়া যায় না। বিজ্ঞাপন দেয়, ঘর ঘর মে পানি। কিন্তু এই প্রকল্পের জমি, পাইপলাইন, রক্ষণাবেক্ষণ, তাছাড়া ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকারের। মিথ্যে কথা বলে লোককে।“ আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যে সবাই পানীয় জল পাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার জল প্রকল্প এবছর শেষ হবে। এদিনের সভা থেকে ফের সিএএ নিয়ে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “CAA নিয়ে চিৎকার করছিল। ভোটার তালিকা থেকে জোর করে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছিল। আধারকার্ড কাটতে শুরু করেছিল না? ওই জন্যেই। ৫ বছর আগে ফরেনার করে দেবে আপনাদের। তারপর তো নাগরিকত্ব!“

Latest article