প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদ থেকে এবারে শূন্য হাতেই ফিরতে হবে কংগ্রেসকে। একই হাল হবে গোটা রাজ্যেও। শুক্রবার জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের দু’টি বিজয়া সম্মিলনীতে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস সেই বার্তাই দিল স্পষ্টভাবে। বহরমপুর এবং বেলডাঙা ২ নম্বর ব্লকের দুটি বিজয়া সম্মিলনীরই মধ্যমণি ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁকে দেখে, তাঁর কথা শুনে রীতিমতো আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সব বয়সের মানুষ। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে হুড়োহুড়ি লাগিয়ে দেন দলের কর্মী-সমর্থকরা।
আরও পড়ুন-রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা থেকে মুক্তি পেলেন শিক্ষাবিদ সাইবাবা
দুটি শুভেচ্ছা-সভাতেই জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। অধীর চৌধুরীর নাম মুখেও আনেননি তিনি। কিন্তু বহরমপুরের সুইমিং পুলের মাঠে বিজয়া সম্মিলনীতে চাঁচাছোলা অথচ শ্লেষাত্মক ভাষায় কুণাল বুঝিয়ে দেন, সিপিএমের হাত ধরার বাসনায় কংগ্রেসের কী চরম সর্বনাশটাই না করেছেন অধীর। জেলায় শূন্য থেকে আজ মহাশূন্যের পথে কংগ্রেস। সহস্র করতালিতে কুণালের বক্তব্যকে সমর্থন জানান আমজনতা। বেলডাঙা ২ নম্বর ব্লকে শক্তিপুর হাইস্কুল মাঠে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে ঘিরে সেই একই আবেগ, একই উচ্ছ্বাস। দুটি শুভেচ্ছা-সভাতেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়ার আহ্বান জানান কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন-হারানো দিনের স্মরণীয় নায়িকা
ডাক দেন সাম্প্রদায়িক গেরুয়া শিবিরকে পুরোপুরি মুছে দেওয়ার। প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের পরিচালনভার অর্পণ করার। বলেন, এখানকার কিছু গদ্দার, বেইমান বিজেপির কাছে গিয়ে ঘেউ ঘেউ করছে। নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের উন্মোচনের প্রসঙ্গ তুলে কুণালের অভিযোগ, কেন্দ্র আসলে নেতাজিকেই অসম্মান করছেন। বউবাজারে ফের বাড়িতে বাড়িতে ফাটল ধরার জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেন কুণাল। গরুপাচারেও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এবং বিএসএফের আসল ভূমিকা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন কুণাল।
আরও পড়ুন-শ্যামলের দুর্নীতির তদন্তে ১২ সদস্যের সিট গঠন
বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর সাংগাঠনিক শাওনি সিংহরায়, রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদ সভাধিপতি শামসুজ্জোহা বিশ্বাস, বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়, বেলডাঙা ব্লক সভাপতি ইন্দ্রনীল চৌধুরী, জেলা মহিলা সভানেত্রী শাহনাজ বেগম।