মৎস্যজীবীদের সুরক্ষায় কন্ট্রোল রুম

ঝড়ের পূর্বাভাস থাকলে তা সরাসরি মৎস্যজীবীদের জানানো হবে। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে গেলে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক থাকে না।

Must read

সংবাদদাতা, তমলুক : প্রতিবছর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারডুবি বা প্রাকৃতিক ঝড় ও দুর্ঘটনায় পড়ে অনেক মৎস্যজীবীর প্রাণ যায়। এই ধরনের ঘটনায় মৎস্যজীবীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলছে রাজ্য সরকার। মোট চারটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়াও চতুর্থটি থাকবে বিধাননগরে মৎস্য দফতরের সদর কার্যালয়ে। কন্ট্রোল রুম থেকে উপকূলবর্তী এলাকার আবহাওয়ার উপর নজর রাখা হবে।

আরও পড়ুন-পেঁয়াজ ফুলে লক্ষ্মীলাভ কৃষকদের

ঝড়ের পূর্বাভাস থাকলে তা সরাসরি মৎস্যজীবীদের জানানো হবে। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে গেলে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক থাকে না। তাই প্রতিটি ট্রলারে ট্রান্সপন্ডার বসানোর জন্য কেন্দ্রের অনুমতিও চাওয়া হবে। এটি থাকলে সমুদ্রেও মৎস্যজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। পাশাপাশি, গভীর সমুদ্রে ট্রলারগুলির অবস্থান ভেসে উঠবে কন্ট্রোল রুমের বিশাল পর্দায়। ফলে কোনও ট্রলার বিপদে পড়লে উদ্ধারকাজে তৎক্ষণাৎ উদ্যোগও নেওয়া যাবে। তবে ট্রলারে ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ দ্বিতীয় পর্যায়ে হবে।

আরও পড়ুন-বালি খাদান থেকে ১১০০ কোটি রাজস্ব

প্রথমে চালু হবে কন্ট্রোল রুম। ইতিমধ্যে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে অর্থ দফতর। এছাড়া, রাজ্যের প্রতিটি মৎস্যজীবীকে সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজও ৭৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। দুয়ারে সরকার শিবির ও পরে মোট ৬.৬৫ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সাড়ে তিন হাজার নথিভুক্ত ট্রলার রয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার মৎস্যজীবী সমুদ্রে মাছ ধরতে যান।

Latest article