ধর্ষক ও ধর্ষিতাকে সমঝোতা করার পরামর্শ বিচারপতির, গুজরাত হাইকোর্টের বেনজির প্রস্তাবে বিতর্ক সব মহলে

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে এই একই মামলার শুনানিতে বিচারপতি দাভে মনুস্মৃতি প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। যা নিয়ে গোটা দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা হয়।

Must read

প্রতিবেদন : ধর্ষণের মামলায় আদালতে বিচার চাইতে গিয়েছিলেন এক নাবালিকা। কিন্তু সেই মামলায় ধর্ষককে শাস্তি দেওয়া তো দূরের কথা, বরং সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নির্যাতিতাকে বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি সমীর দাভে। বিচারপতির এই পরামর্শ শুনে স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা আদালত। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে এই একই মামলার শুনানিতে বিচারপতি দাভে মনুস্মৃতি প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। যা নিয়ে গোটা দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা হয়।

আরও পড়ুন-৩০ হাজার বাস-ট্যাক্সিতে জিপিএস

তারপরও একই ধরনের মন্তব্য করায় বিচারপতির মানসিক সুস্থতা আছে কি না তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। বৃহস্পতিবার গুজরাত হাইকোর্টে বিচারপতি দাভের এজলাসে এই ধর্ষণের মামলার শুনানি চলছিল। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি দাভে আইনজীবীকে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারিণীর সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন। এই মামলায় বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার কোনওরকম সম্ভাবনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখার কথা বলেন তিনি। বিচারপতির ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্যাতিতার আইনজীবী আদালতকে জানান, তিনি অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার কোনও প্রতিক্রিয়া জানতে পারেননি। আইনজীবীর ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, প্রয়োজনে আদালত অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলবে। এরপরই জেলে থাকা ওই যুবককে আদালতে হাজির করানোর কথাও বলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন-রেশন দিতে নয়া অ্যাপ

উল্লেখ্য, ওই ধর্ষিতা কিশোরীর বয়স মাত্র ১৭। শুধু তাই নয়, ওই নাবালিকা বর্তমানে সাত মাসের গর্ভবতী। ওই নাবালিকার বাবা আদালতে তাঁর মেয়ের গর্ভপাতের নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানিতে ৭ জুন বিচারপতি দাভে নাবালিকাকে মনুস্মৃতির কথা বলেছিলেন। বিচারপতি ওই নাবালিকাকে বলেছিলেন, তুমি তোমার মা-ঠাকুরমার কাছে জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবে আগে মেয়েদের ১৪ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যেই বিয়ে হত। এমনকী, তাঁরা সন্তানেরও জন্ম দিতেন। বিচারপতির ওই মন্তব্য নিয়ে দেশে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

Latest article