প্রতিবেদন : আসন্ন বর্ষার মরশুমে ঘূর্ণিঝড় বা সম্ভাব্য যে কোনওরকম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট দফতরকে পারস্পরিক সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় ডিভিসি ও কেন্দ্রীয় জল কমিশনকে জলাধার থেকে জল ছাড়ার আগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ছাড়াও সরাসরি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আগাম আলোচনা করে তবেই জল ছাড়তে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপির ফের লাশ রাজনীতি
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী মঙ্গলবার নবান্নে বর্ষার মরশুমে বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। ডিভিসি, কেন্দ্রীয় জল কমিশন, আলিপুর আবহাওয়া দফতর, কৃষি, সেচ, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ, সেনাবাহিনী, অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর-সহ ৪৬টি দফতরের আধিকারিকরা ছিলেন বৈঠকে। সরকারিভাবে কিছু না জানানো হলেও বড় ধরনের কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকলে প্রয়োজনীয় ত্রাণ মজুত, উদ্ধারকারী দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্ষার আগেই সব ধরনের নিকাশি খাল ও দুর্বল নদীবাঁধ সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জমা জলে বিদ্যুতের তার থেকে যেন কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তার সতর্কতায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বৈঠকে বলা হয়েছে। দুর্যোগের আগাম সতর্কতায় নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের সচেতন করতে মাইক প্রচারের ব্যবস্থা করা ছাড়াও তাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে হবে বলে জানানো হয়েছে। বৈঠকে দুর্যোগের অনেক আগেই জেলা ও রাজ্য স্তরে কন্ট্রোল রুম খোলার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-পর্যটন, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাটে বদলেছে জেলা
প্রসঙ্গত, বিগত বছরগুলিতে ডিভিসির অপরিকল্পিত ভাবে জল ছাড়াকেই রাজ্যে বন্যার কারণ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেকথাই মঙ্গলবার ফের একবার করে বলে দেওয়া হল ডিভিসি এবং সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের প্রতিনিধিদের। বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটলে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ দফতর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।