প্রতিবেদন : পেশাদারিত্বের নাম করে কেন্দ্রের মোদি সরকার বিভিন্ন সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষে বেসরকারি ব্যক্তিদের বসানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছে, সেই পরিকল্পনার আওতায় নবতম সংযোজন টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই (TRAI)। ট্রাই (TRAI) আইন, ১৯৯৭-এর ধারা ৪-এ একটি সংশোধনীর বিষয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্র, যা কার্যকর হলে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারপার্সন পদে সিনিয়র কর্পোরেট এক্সিকিউটিভদের বসানো যাবে। টেলিকম মন্ত্রক সূত্রের খবর, সোমবার থেকে সংসদের নির্ধারিত পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনে সংশোধনী পাশ করানোর চেষ্টা করতে পারে সরকার। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে এই সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল রেল বোর্ড দিয়ে। পুরানো নিয়ম সংশোধন করে বোর্ডের চেয়ারম্যান পদটিকে বদলে চেয়ারম্যান এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বা সিএও করা হয়। ওই পদে বেসরকারি ব্যক্তিকে বসানোর বিধান রাখা হয়েছে। এর পরে শেয়ার বাজারের নিয়ামক সংস্থা সেবির মাথায় বসানো হয়েছে বেসরকারি কর্তাকে। সেবির বর্তমান চেয়ারম্যান মাধবী পুরী একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ডাটা প্রোটেকশন বোর্ড গঠন করেছে। সংসদের বিগত বর্ষাকালীন অধিবেশনেই পাশ হয়েছে ডিজিটাল পার্সোনাল ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট। ওই আইনে বোর্ডের মাথায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাকে বসানোর বিধান রাখা হয়েছে।
এক সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য, প্রস্তাবিত টেলি কমিউনিকেশন বিলের সংশোধনীটি নিশ্চিত করবে নিয়ন্ত্রকের চেয়ারপার্সন বেসরকারি ক্ষেত্রের থেকে কাউকে করা যেতে পারে। পদটির জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড হিসেবে বেসরকারি ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের কোনও কর্পোরেট সংস্থার বোর্ডের পদে অধিষ্ঠিত থাকতে হবে বা কমপক্ষে ৩০ বছরের পেশাদার অভিজ্ঞতা-সহ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে আসীন থাকাটা বিবেচ্য হবে।
টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষে বসবেন কর্পোরেট কর্তারা!
আইন সংশোধনের পথে কেন্দ্র