প্রতিবেদন : কুণাল ঘোষের চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে তাঁকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কাঁথির সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতার বাবা শিশির অধিকারীর ‘অস্বাভাবিক হারে সম্পত্তি-বৃদ্ধি’র অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সিবিআই এবং ইডি-র ডিরেক্টরকে সম্প্রতি চিঠি দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এবং সারদা মামলার সঙ্গে যুক্ত করে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-অর্কিড চাষে গুরুত্ব জেলা হর্টিকালচার বিভাগের
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই একথা জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র। সঙ্গে অমিত শাহের দেওয়া চিঠির ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। এদিন কুণাল লিখেছেন, শিশির অধিকারীর সম্পত্তিতে বিপুল বৃদ্ধি ও অসঙ্গতি। তদন্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। অমিত শাহর তরফ থেকে উত্তরে জানলাম চিঠি পেয়েছেন। সিবিআই সূত্র থেকে জানলাম চিঠি পৌঁছেছে। দিল্লি বাধা না দিলে তদন্ত নিশ্চিত। সারদা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে এর তদন্ত দরকার অবিলম্বে। শিশিরবাবুকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে হবে। প্রসঙ্গত, শিশির অধিকারীর ‘অস্বাভাবিক হারে সম্পত্তি-বৃদ্ধি’র অভিযোগ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, ২০০৯ সালের নির্বাচনী হলফনামায় শিশির অধিকারী জানিয়েছিলেন তাঁর মোট সম্পদ ১০ লক্ষের বেশি। কিন্তু, ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ঘোষণামতো, শিশির অধিকারীর মোট সম্পদ ১০ কোটির বেশি। আর, ২০১৯ সালে তা হঠাৎ কমে হয় ৩ কোটি টাকা। কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, তথ্য ঠিক না ভুল? ১০ লক্ষ ৩ বছরে ১০ কোটি হল কী করে? ১০ কোটি কী করে কমে ৩ কোটি হল? এটা কোন জাদু?
আরও পড়ুন-ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ শশী পাঁজার
এরপরই কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর ‘সম্পত্তি বৃদ্ধি’র তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিবিআই এবং ইডি-কে চিঠি দেন কুণাল। সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূূল মুখপাত্র বলেছিলেন, যেহেতু সারদার মালিক অভিযোগ করেছিলেন, ২০১১ এবং ’১২ সালে কাঁথির অধিকারীরা তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে প্রচুর টাকা নিয়েছিল এবং একই সময়ে সাংসদ শিশির অধিকারীর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি টাকা, তাই, এই বিষয়টি সারদা দুর্নীতি মামলার অধীনে তদন্তের দাবি করে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিবিআই-এর ডিরেক্টর এবং ইডি-র ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছেন। এবার সেই চিঠির উত্তর এল। কুণাল আশাবাদী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করবে। তাঁর যুক্তি, শিশির অধিকারীকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করলেই, তা সঠিক পথে এগোবে।