মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। গণনার সময় যত শেষ হয়ে আসছে তখন হার বুঝে কয়েকটি বুথে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে বিরোধীরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলার ট্রেন্ড তৃণমূল কংগ্রেসই। নির্বাচন কমিশনার (Election Commissioner Rajiva Sinha) জানান, সুষ্ঠুভাবেই চলছে ভোট গণনা।
মঙ্গলবার, দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা নিয়ে BSF-এর অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajiva Sinha)। তাঁর কথায়, ‘‘বিএসএফের পরিকল্পনায় স্পর্শকাতর বুথের কোনও বিষয় ছিল না। জেলাভিত্তিক স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম শুধু স্পর্শকাতর কেন, ডিএম এবং এসপির সঙ্গে কথা বলে প্রতি বুথেই বাহিনী দেওয়া হবে। বিএসএফ যদি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না-ই পায়, তাহলে ওরা বুথগুলিতে বাহিনী দিল কী করে?’’
আরও পড়ুন: গ্রাম বাংলায় জিতছে তৃণমূল! বাংলা জুড়ে ঘাসের ফুল, জানালেন দেবাংশু
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দাবি, ‘‘সাধারণ মানুষ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। প্রথমে আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশে সংশোধন করে বলা হয়, যে ক-টি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।’’
রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা থেকে ভোট গ্রহণ- বিচ্ছিন্ন অশান্তির খবর মিলেছে। সেই প্রসঙ্গে রাজীব সিনহা বলেন, ভোটে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তি হয়েছে। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনের হয়। সেটাও শান্তিতে মিটেছে। মঙ্গলবার মোট ৩৩৯টি কেন্দ্রে ভোটের গণনা চলছে। হাতে গোনা কয়েকটি বুথে গণনা শুরু হতে দেরি হয়। মাঝে কিছুক্ষণ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে গোলমাল দেখা দেয়। দ্রুত তা সারিয়ে ফেলে ফের সেটিকে সচল করা হয়েছে।