সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : পাখিসুমারি হল বাঁকুড়ার রানি মুকুটমণিপুরে। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বন দফতরের যৌথ উদ্যোগে। মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারে পরিযায়ী পাখির সুমারি শুরু হল। প্রতি বছর শীতে দেশবিদেশের অসংখ্য পরিযায়ী পাখি মুকুটমণিপুরে আসে। স্বাভাবিক নিয়মে শীত শেষে তারা ফিরেও যায়। তারা কতজন আসছে, সংখ্যা কমছে না বাড়ছে ইত্যাদি জানতে পাখিরা থাকাকালীন বেশ কয়েক বছর ধরে গনণার কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মুকুটমণিপুর জলাধারের ওপর নৌকোয় চেপে ওই গণনার কাজ করা হয়। ছিলেন বাঁকুড়ার এডিএফও অসিতকুমার দাস, খাতড়ার রেঞ্জার সীতারাম দাস ও বন দফরের অন্যান্য আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-৩০ জানুয়ারি থেকে দেওয়া হবে অ্যাডমিট
এদিনের গনণায় প্রায় ১২ রকম প্রজাতির পাখির খোঁজ মিলেছে বলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রিন প্ল্যাটুর তরফে জানানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটনকেন্দ্র মুকুটমণিপুরকে ঘিরে বার্ড ওয়াচিং ও ইকো ট্যুরিজম সেন্টার গড়ে তুলতে পক্ষিগণনার কাজ করছে বন দফতর । এদিনের গণনায় সরাল, রাঙামুড়ি, বালিহাঁস ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা গিয়েছে। পাখি গণনাকারী ওই সংস্থার দাবি, বিগত বছরের তুলনায় এবছর মুকুটমণিপুরে আসা পাখির সংখ্যা বেশ কম। যে সমস্ত পরিযায়ী পাখির সন্ধান মিলছে না, তারা কেন আসছে না কারণ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মানুষজনের মধ্যে সচেতনতাও গড়ে তোলা হবে বলে বন দফতর জানায়।