প্রতিবেদন : বাজারে জাল ওষুধের রমরমা রুখতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভেজাল ওষুধ ধরবার জন্য অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার নবান্নে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই জাল ওষুধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বাজারে অনেক ভেজাল ওষুধে ছেয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন রকম খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব দিল্লির দেখার কথা। কিন্তু ওরা সেটা করছে না। তাই দুটি ড্রাগ ল্যাবরেটরি করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন-সুন্দরবনের ‘বনফুল’ সুরক্ষা দিচ্ছে মউলেদের
মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, এবারের বাজেটেও এই খাতে টাকা বরাদ্দ রয়েছে। তা দিয়েই ওষুধ পরীক্ষার জন্য ড্রাগ ল্যাবরেটরি হবে। যে ওষুধ বাজারে বিক্রি হচ্ছে তা আদৌ আসল না নকল তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা হবে ওই ল্যাবরেটরিতে। তাঁর আরও অভিযোগ, সারা দেশে একতরফাভাবে ৮০০-র বেশি ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। যার ফলে মানুষের ওপর আর্থিক বোঝা চাপছে। সম্প্রতি কাঁথি হাসপাতালে বাংলাদেশের ওষুধ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওখানে বাংলাদেশের ওষুধই দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-বিধায়কের উদ্যোগে শুরু হল বেহাল স্টেডিয়ামের সংস্কার
অবৈধ ভাবে তা ওখানে গিয়েছে এমন নয়। স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে মানুষ যে ওষুধ কিনে খান, তা যদি ভেজাল হয় তাহলে স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক বিষয় যে বিপন্ন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকের মতে, বিষয়টির গুরুত্ব বুঝেই হয়তো পদক্ষেপ করল নবান্ন। প্রসঙ্গত মনে রাখতে হবে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী ফেয়ার প্রাইস শপ চালু করেন। যা গোটা দেশের কাছে নজির তৈরি করেছে। এবার রাজ্যই তৈরি করবে জাল ওষুধ ধরতে ল্যাবরেটরি।