দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতীর ছাত্র আন্দোলনেও রাম-বাম আতাঁত! হঠাৎ করে আন্দোলনে ঢুকে পড়ে সিপিএম তথা তাদের ছাত্র সংগঠনের রাজ্যনেতারা স্থানীয় সিপিএম নেতাদের সাহচর্যে ছাত্র-আন্দোলন ভেঙে আরএসএসের হাত শক্ত করছেন, এমনই অভিযোগ আন্দোলনরত পড়ুয়াদের। প্রশ্ন উঠেছে, তাত্ত্বিক বাম নেতারা কোন অজ্ঞাত স্বার্থে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মতো বিজেপি বা তাদের সংগঠন আরএসএসের মতাদর্শে চলা ব্যক্তির সঙ্গে হাত মেলালেন? যার দরুন রেয়াত পেলেন না ছাত্রনেতাও?
আরও পড়ুন-লালফৌজকে টক্কর দিতে নয়া সাবমেরিন
এই বিশ্বাসঘাতকতার ফলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের অনেকটাই ক্ষতি হল বলে মনে করছেন পড়ুয়ারা। দীর্ঘদিন দিন ধরে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা। বিপরীতে অনমনীয় হয়ে কোনও আলোচনার সুযোগ না দিয়ে সাসপেনশন বা নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে হামলা ইত্যাদি দমন-পীড়ন চালিয়ে আন্দোলন থামাতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে পড়ুয়ারা আদালতের শরণাপন্ন হন। হঠাৎ গত ৫ জানুয়ারি ময়ূখ বিশ্বাস, প্রতিকুর রহমান এবং সৃজন ভট্টাচার্যরা ছাত্র আন্দোলন জোরদার করতে আসরে নামেন। তারপর অরাজনৈতিকভাবে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের অন্ধকারে রেখে ছাত্রপ্রতিনিধি সেজে উপাচার্যের আপ্যায়নে মিনিটসে সই করে সমঝোতা করলেন। যাকে ছাত্রস্বার্থে চলা আন্দোলনকে উপাচার্যের কাছে বেচে দেওয়া আখ্যা দিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। কারণ তাতে ‘নিঃশর্তে ক্ষমাপ্রার্থনা’ এবং ছাত্র আন্দোলনের প্রতি অনেক আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কথার উল্লেখ রয়েছে। বোলপুর আদালত ছাত্রদের বিরুদ্ধে করা বিশ্বভারতীর সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন-মোহনবাগানে ফিরলেন মার্টিন্স
বিশ্বভারতীর টিএমসিপি ইউনিটের সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য সরাসরি বিকাশ ভট্টাচার্য, ময়ূখ বিশ্বাস থেকে স্থানীয় সিপিএম নেতাদের দায়ী করলেন। বললেন, ময়ূখরা কী করে বিশ্বভারতীর ছাত্রপ্রতিনিধি হলেন? তাঁদের ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সই করা ডিল আদালতে জমা করিয়ে বিকাশবাবুরা আরএসএস বিজেপির দালাল উপাচার্যের তাঁবেদারি করে আদালতকে বিপথে চালিয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে রায় করিয়ে আন্দোলন থামাতে চাইছেন। সব কিছুর নায়ক সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ। প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন তাই অন্য নেতাদের সঙ্গে মিলিতভাবে এই চরমতম বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। বিকাশরঞ্জনের বক্তব্য, যারা গিয়েছিল, ছাত্রদের প্রতিনিধি হয়েই গিয়েছিল। ময়ূখ জাগোবাংলাকে কিছু বলবেন না বলে, লাইন কেটে দেন।