প্রতিবেদন : কোটি কোটি টাকা খরচ করে নামিবিয়া থেকে চিতা (Leopard Controversy) এল। প্রধানমন্ত্রী জঙ্গল সাফারি পরে দামি ক্যামেরায় ছবি তুললেন। কিন্তু দেশবাসীর লাভ কী? মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর ন্যাশনাল পার্কের গায়ে শিবপুরী-শেওপুর গ্রাম। চিতা আসায় এখন সেখানে উচ্ছেদের আশঙ্কা। প্রশাসন জনবসতি হঠাতে নেমে পড়েছে। রাজ্য সরকারের হিসেবই বলছে, শেওপুর জেলাতেই অপুষ্টিতে ভুগছে প্রায় ২১ হাজার শিশু। এলাকায় বাগিচা অধিবাসীরা সহরিয়া জনজাতি। বিপন্ন জনজাতির তালিকায় থাকলেও তাদের উচ্ছেদ করার সব পরিকল্পনা তৈরি। ফলে এলাকা জুড়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। কোটি কোটি টাকা খরচা করছে কেন্দ্র অথচ অপুষ্টি, অনাহার, উচ্ছেদের আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা। এই চিতার ভবিষ্যৎ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসেছে আফ্রিকান চিতা (Leopard Controversy)। ঘাস জমিতেই তার বাস। জঙ্গল কেটে চিতার বাসযোগ্য করা হচ্ছে। কিন্তু অরণ্যের চরিত্র তো বদলানো সম্ভব নয়। তাহলে কী হবে? ১৯৫২ সালের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী নতুন প্রজাতির প্রাণী এদেশে আনা যায় না। যে কারণে কেন্দ্র রিইন্ট্রোডাকশনের মিথ্যাচার করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে চিতা এনে শেষে তার মৃত্যুর খবর না করতে হয়!
আরও পড়ুন-চাকরিতেও শীর্ষে রাজ্যের পড়ুয়ারা