প্রতিবেদন : ব্যর্থ হল আর একটা কর্মনাশা ধর্মঘট (Strike) ডেকে রাজ্যকে পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে সিপিএমের বন্ধ্যা রাজনীতি ব্যর্থ করে দিলেন রাজ্যের মানুষ। সাড়া দিলেন না সরকারি কর্মীরাও। বামেদের ডাকা ধর্মঘট উপেক্ষা করে শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সরকারি অফিসে কর্মীদের হাজিরার ছবি অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতো। সকালে নবান্নে ঢুকতে লম্বা লাইন ছিল সরকারি কর্মীদের। কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে সমস্ত রাজ্য সরকারি দফতরে কর্মীদের হাজিরার হার ছিল ৯০ শতাংশের বেশি। বামেদের ডাকা ধর্মঘটের দিনেই কর্মনাশা বন্ধ সংস্কৃতি ও ডিএ আন্দোলনের নামে ধর্মঘট ডাকাকে তীব্র কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন চড়িয়াল সেতুর উদ্বোধন করে অভিষেক বলেন, অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন হতেই পারে। ডিএ আন্দোলনকারীরা ধর্মঘট ডেকেছেন। বাংলার মানুষ এখন আর কর্মনাশা, ধর্মনাশা ধর্মঘট বা বন্ধ করেন না।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে শহরে বিশৃঙ্খলা বাম ছাত্রদের
বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে ডাকা ধর্মঘট (Strike) উপেক্ষা করে এদিন কর্মীদের অফিসে যোগ দেওয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মানস ভুঁইয়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকারি কর্মচারীরা দফতরে হাজির। তাঁরা টেবিল-চেয়ারে বসে ফাইল ঘাঁটছেন। প্রশাসনিক কাজ করছেন।
ধর্মঘটে সরকারি কর্মীদের দফতারে আসা বাধ্যতামূলক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নবান্ন। ধর্মঘটের বিরুদ্ধে প্রচার চালায় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। যার জেরে এদিন স্বাভাবিকই ছিল সরকারি অফিসের কাজকর্ম। নবান্ন তো বটেই, কেএমডিএ, পূর্ত ভবনে কর্মচারীদের হাজিরা ছিল প্রায় ১০০%। নগরোন্নয়ন দফতরে ৯০ শতাংশের বেশি কর্মী কাজে যোগ দিয়েছেন শুক্রবার। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গড়ে ৯৬ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।