প্রতিবেদন : প্রায় ৬৫০ বছর আগের কথা। অধুনা বেহালা ও নিউ আলিপুরের মধ্যবর্তী সাহাপুর এলাকা তখন সুন্দরবনের অংশ ছিল। পশ্চিমে বইত গঙ্গা। কথিত, রাজা সিংহবাহুর পুত্র বিজয় সিংহ এই নদীপথ ধরেই ৭০০ অনুগামী নিয়ে সিংহল জয় করেছিলেন। মূল গঙ্গার দক্ষিণ-পশ্চিমে যে খাল সুন্দরবনের খাঁড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করত, তার নাম ছিল দোমোহনী। বিদেশ যাওয়ার সময় জাহাজ নোঙর হত এখানে। সেখানেই আনুমানিক ৪০০ বছর আগে গড়ে ওঠে জয়চণ্ডী মন্দির (Joychandi Temple)। জায়গার নামও হয়ে উঠে চণ্ডীতলা। শ্রীমন্ত সওদাগর বাণিজ্যপথে দোমোহনী ঘাটে মন্দির গড়ে পুজো শুরু করেন। আদিগঙ্গা এখন এই এলাকা থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে। এটি বাদে রাজ্যে পুরুলিয়াতেই আছে জয়চণ্ডী পাহাড়। তাই রাজ্য পর্যটন দফতর ২০২২ সালে এটিকে আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্রের তকমা দিয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যারতি, নিত্যপুজো হয়। দুর্গাপুজোয় বিশেষ ভোগ গ্রহণ করতে মানুষের ঢল নামে। এই মন্দিরের তোরণ নৌকার আদলে। কারণ একসময় সামনে দিয়ে নৌকা যেত। মন্দিরের জমিতে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন দ্বাদশ দেবদেবীর মন্দির। যার অন্যতম কলকাতার একমাত্র বৈষ্ণোদেবী মন্দির। মন্দির (Joychandi Temple) সংলগ্ন এই পুকুর টালি নালার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। মজে যাওয়া খাল সংস্কার করে নৌকা চলাচলের উপযোগী করেছিলেন উইলিয়াম টলি। এই নালা বড় গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত ছিল। উল্লেখ্য, বর্তমান কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর তারক সিং এই চণ্ডীমঙ্গল উন্নয়ন পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তিনি জানালেন, এবারের নবরাত্রিতে আকর্ষণ ডান্ডিয়া উৎসব।
আরও পড়ুন- দার্জিলিঙে প্রতিনিধি পাঠালেও দাবিতে অনড় অভিষেক, কলকাতায় দেখা করতেই হবে রাজ্যপালকে