জোশীমঠের অবস্থা রানিগঞ্জেও, নির্বিকার কেন্দ্র

Must read

প্রতিবেদন : রাজ্যের কয়লা শহর রানিগঞ্জের (Raniganj) অবস্থা জোশীমঠের মতো। সেখানে ধস নামলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে কেন্দ্রের কাছে সেখানকার পরিস্থিতি জানিয়ে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। সেখানে ধস নামলে যে কোনও সময় বহু মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন। তখন এর দায় নেবে কে?

আরও পড়ুন: মেঘালয় যুদ্ধ শুরু, আজ নেত্রীর প্রথম জনসভা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি জোশীমঠে। আগে বন্দোবস্ত করলে এই দিন দেখতে হত না। একই অবস্থা রানিগঞ্জে (Raniganj)। গত ১০ বছর ধরে এটা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা লড়াই করছি। যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, কিছুই দেয়নি। ধস নামলে ২০ হাজার মানুষ মরে যেতে পারে যদি আমরা ঘর না বানিয়ে দিই। আজ পর্যন্ত টাকা দিল না। আমাদের যা ছিল তা দিয়েই বানিয়েছিল। কিন্তু আরও টাকা লাগবে। অন্তত ৩০ হাজার মানুষ প্রভাবিত হতে পারেন। ইসিএল জমি নিয়ে রেখেছে, কিন্তু টাকা দিচ্ছে না। পুনর্বাসনের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া যাচ্ছে না। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের কাছে যতটুকু যা অর্থ ছিল তা দিয়ে কিছু বাড়ি বানিয়ে দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্র অর্থ না দেবে, ততক্ষণ কিছু পুনর্বাসন সম্ভব নয়। আর সেক্ষেত্রে সরু সুতোর উপর ঝুলবে রানিগঞ্জের বাসিন্দাদের ভাগ্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এখানেও আমার ধারণা, সাধারণ মানুষের কোনও দোষ থাকবে না। যদি কোনও বিপর্যয় হয়, সরকারকেই তার দায় নিতে হবে। সম্প্রতি জোশীমঠে ধস এবং ফাটলের জেরে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ পরিস্থিতি। সেখানে ভেঙে ফেলতে হয়েছে একাধিক বাড়ি এবং হোটেল। পাহাড়ি ওই এলাকার মতো ধসের দৃশ্য বারবার দেখা গিয়েছে সমতলের রানিগঞ্জেও। মাটির ফাটল থেকে অনেকবার বেরোতে দেখা গিয়েছে ধোঁয়া এবং আগুন। আবার কোথাও কোথাও ধসও নেমেছে।
এক বিচারপতির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন বিচারপতিরা যদি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকেন বা পছন্দের তালিকায় থাকেন তবে তাঁদের ভাল পদোন্নতি বা পোস্টিং হয় অন্যথায় দীর্ঘ ওয়েটিংয়ে থাকতে হয়। কলকাতায় দিল্লি থেকে বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের আসা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় ‘আহা’ শব্দটি প্রয়োগ করতে।

Latest article