জিএসটি (GST- Demonetisation) এবং নোটবন্দিতে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে, চিনের লাল ফৌজের আক্রমণেও তা হয়নি। জিএসটি চালু এবং নোটবন্দি করা দু’টিই অত্যন্ত বিপর্যয়মূলক সিদ্ধান্ত ছিল। নোট বাতিল এবং জিএসটি (GST- Demonetisation) চালু করার ফলেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছোট উদ্যোগপতি এবং কৃষকদের হাতে নগদের জোগান কমে গিয়েছে। অথচ এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পই দেশে কর্মসংস্থানের মূল জায়গা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং কৃষকদের পুনরুজ্জীবিত না করা গেলে, দেশে বেকারত্ব ঘুচবে না। ভারত জোড়ো যাত্রায় বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন- স্কুলছাত্রকে পিষে দিয়েও নির্বিকার, নিজের গাড়ি দেখতে ব্যস্ত বিজেপি সাংসদ
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে এক সভায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বর্ধিত মূল্যের অর্থ কোথায় যাচ্ছে? এই টাকা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দু’জন ধনকুবেরের পকেটে যাচ্ছে। পাশাপাশি এই টাকা বিরোধী দলের বিধায়ক কেনাবেচায় খরচ করা হচ্ছে। রাজ্যে রাজ্যে অবিজেপি সরকার ভাঙতে খরচ করা হচ্ছে। দেশে বেকার সমস্যা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছলেও মোদি সরকারের সেদিকে হুঁশ নেই। বিজেপি ও ওই দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদি বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে শুধু সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে চলেছেন। বিভেদ ও বিভাজনের রাজনীতি করছেন।
আরও পড়ুন-ব্যাঙ্কের টাকা গরিবরা আত্মসাৎ করেনি, মুদ্রা যোজনাতেই সর্বনিম্ন অনাদায়ী ঋণ