অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গ্রামীণ বাংলার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য রাজ্যের পাওনা টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। তাই টাকার অভাবে বেশ কিছু প্রকল্প থমকে রয়েছে। তবে কোনও অবস্থাতেই উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানালেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। সদ্য রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব পাওয়া এই প্রবীণ নেতা মন্ত্রী হওয়ার পর দুর্গাপুরে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে আসেন। জাতীয় সড়ক ধরে আসার সময় তাঁর কনভয়টিকে হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তত দশ জায়গায় দাঁড়াতে হয়। কারণ কৃষক-অন্তপ্রাণ বর্ষীয়ান এই মানুষটিকে বেশ কিছু জায়গায় সংবর্ধনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন-দিনমজুর বাবা, ছেলের সোনা এলডোসের কীর্তি
মানুষের স্বাভাবিক উচ্ছ্বাস-আবেগে ভেসে যান প্রদীপবাবু। পরে দুর্গাপুরে এক সংবর্ধনা সভা শেষে রাজ্যের কৃষকবন্ধু সদালাপী মানুষটি বলেন, ‘আপনারা জানেন একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখে দিয়েছে। এই একশো দিনের কাজের টাকা না পাওয়ায় রাজ্যের পাইপ লাইনে থাকা অনেকগুলি প্রকল্প থমকে রয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, প্রতিটি প্রকল্পতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম জুড়তে হবে। তবেই পাওয়া যাবে রাজ্যের ন্যায্য পাওনা টাকা। রাজ্যের দরিদ্র কৃষকদের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ধরনের আপস করতে রাজি আছেন। কিন্তু আমাদের সংশয় তারপরও কি মোদি সরকার রাজ্যের পাওনা সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেবে?’ প্রদীপবাবু বলেন, ‘আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। গত প্রায় দশ বছর ধরেই আমরা ধান, মাছ ইত্যাদি উৎপাদনে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে চলেছি। গত কয়েক বছরে সেচ ব্যবস্থারও অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন-চা-বাগান শ্রমিক-সন্তানদের কম্পিউটার শেখাবে রাজ্য
একশো দিনের প্রকল্পে আমাদের রাজ্যে যে প্রকৃতই উন্নয়নের কাজ হয়, সেটা কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের শংসাপত্রেই প্রমাণিত। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমাদের ধরে রাখতে হলে অন্যান্য প্রকল্পের টাকা এই প্রকল্পে খরচ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-র নাম বাংলা আবাস যোজনা করা হয়েছে বলে কেন্দ্র এই প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আমরা শুধু একটা কথাই বলতে চাই, নামে কী যায় আসে? যে নামেই হোক মানুষের উন্নয়নটা করতে পারলেই আমরা খুশি।’ তার জন্য যে-কোনও স্বার্থত্যাগ করতে মুখ্যমন্ত্রী রাজি রয়েছেন বলে জানান নবনির্বাচিত এই প্রবীণ মন্ত্রী।