ধর্ম নয়, উন্নয়নই হাতিয়ার

বিরোধীদের বিশেষ করে বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণ ও কুৎসার রাজনীতিকে প্রতিহত করাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের।

Must read

মণীশ কীর্তনিয়া: ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই উত্তরের ৮টি জেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশকে শিরোধার্য করে একদিকে উন্নয়ন অন্যদিকে ধর্মীয় বিভাজনকে রুখে দিতে মাঠে ময়দানে বক্তৃতা শুরু করেছেন দলীয় নেতৃত্ব। জেলা জুড়ে বিজয়া সম্মিলনীর সভাগুলো ছাড়াও হাটেবাজারে ছোট ছোট সভায় নিজেদের কথা তুলে ধরছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন-একাধিক নির্দেশ, কোটালে বিসর্জন নয়

চলতি বছর শেষ হতে না হতেই পঞ্চায়েতের দামামা বেজে যাবে। হাতে সময় প্রায় নেই বললেই চলে। এরমধ্যে বিরোধীদের বিশেষ করে বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণ ও কুৎসার রাজনীতিকে প্রতিহত করাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের। উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলায় এই চ্যালেঞ্জটাই নিয়েছেন নেতৃত্ব থেকে ব্লক নেতৃত্ব পর্যন্ত। বিজেপি জোর করে বঙ্গভঙ্গ করতে চাইছে। উত্তরবঙ্গকে আলাদা করতে চাইছে। প্ল্যান বি হিসেবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার কথা ভেবে রেখেছে তারা। এখানেই প্রতিবাদে গর্জে উঠছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। কিছুতেই বাংলা ভাগ হতে দেবেন না তাঁরা, এই সংকল্প নিয়েই পঞ্চায়েতের আগে মাঠে নামছেন।

আরও পড়ুন-ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ

আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মৃদুল বিশ্বাস বললেন, ‘‘বিজেপি অনেকদিন থেকেই বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে। না হলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দিকে তারা এগোবে। কিন্তু আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এটা কোনওদিনই হতে দেব না। ধর্মীয় মেরুকরণ করে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো যাবে না।” সার্বিকভাবে দেখতে গেলে বিজেপি উত্তরবঙ্গের দিকেই বেশি টার্গেট করে থাকে ভোটের কারণে। কিন্তু এবার যে বিশেষ সুবিধে তাদের হবে না সেটা বোঝাই যাচ্ছে।

Latest article