নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ধরনা

কেন্দ্রের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Must read

প্রতিবেদন : কেন্দ্রের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশের মঞ্চ থেকেও বারে বারে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দলনেত্রীর নির্দেশে বিলকিস বানোর ধর্ষণে অপরাধীদের মুক্তি এবং কেন্দ্রের প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব, বাগদায় বিএসএফের ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির সামনে টানা ৪৮ ঘণ্টার ধরনা অবস্থান শুরু করলেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।

আরও পড়ুন-শূন্য পদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মঙ্গলবার এই ধরনা অবস্থান শুরু হয়েছে। তিনি ছাড়াও অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী সহ তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা নেতৃত্ব। ধরনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বিএসএফের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, বিলকিস বানো ধর্ষণ-মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির প্রতিবাদে টানা ২ দিন মহিলা তৃণমূল কর্মীদের ধরনা চলবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, যেখানেই অবিজেপি সরকার, বিশেষ করে বাংলায় যেভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে নিত্যদিন করা হচ্ছে, তার তীব্র প্রতিবাদ করছি আমরা।

আরও পড়ুন-ভেঙে পড়ল অস্থায়ী সেতু, ফুঁসছে আংরাভাসা

বিজেপির অনেকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ। কিন্তু তাদের গায়ে আঁচড় পড়ছে না। এর বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ। অভিযোগ যদি এক হয়, একই তো তার পদক্ষেপ হওয়া উচিত। তা হয়নি। একইসঙ্গে বিলকিস বানোর ঘটনা আজও আমাদের লজ্জায় ফেলছে। সিবিআইয়ের কাছে এই মামলা তদন্তের জন্য ছিল। সেই ১১ জনকে ছেড়ে দেওয়া হল। বিধায়ক শশী পাঁজা জানান, ‘‘দুর্নীতির প্রতিবাদে সবসময় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষণ একটা জঘন্যতম অপরাধ। ধর্ষণকারীদের কেন রেহাই দিয়ে দেওয়া হল, কেন্দ্র কেন এই ঘটনা নিয়ে নীরব তার জবাব দিক। আসলে রাজনীতির ময়দানে বিজেপি হেরে গিয়ে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে বাংলার বদনাম করার চেষ্টা করছে। এটা প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি।”

Latest article