প্রতিবেদন : কলকাতা লিগে আবির্ভাবেই সাড়া ফেলে দেওয়া ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব (DHFC) গত বছর প্রথমবার প্রিমিয়ার ডিভিশনে উঠেই সুপার সিক্সে খেলার যোগ্যতা অজর্ন করে। অল্পের জন্য সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব রানার্স হতে পারেনি। মহামেডান, ইস্টবেঙ্গলের পর তৃতীয় স্থানে শেষ করে ডায়মন্ড হারবার। আসন্ন মরশুমে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশ্রণে দল গড়া হয়েছে। অনেক আগেই প্রি-সিজন ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছে ডায়মন্ড হারবার। স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনার তত্ত্বাবধানে বিধাননগর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি (DHFC)।
আরও পড়ুন- মধ্যরাতে হেটেলেই জয়ের উৎসব, হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত শাহরুখ হাসপাতালে
আইএফএ এবার প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ শুরু করতে চায় ২৫ জুন। ক্লাবগুলোকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। বাঙালি ফুটবলার তুলে আনার লক্ষ্যে আইএফএ এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কলকাতা লিগের ম্যাচে ৯০ মিনিট মাঠে চারজন ভূমিপুত্রকে রাখতেই হবে। ভূমিপুত্র খেলানো বাধ্যতামূলক হওয়ায় এবার ডায়মন্ড হারবার ১৮ জন স্থানীয় ফুটবলারকে রেজিস্ট্রেশন করাচ্ছে। গত মরশুমে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সঙ্গে কয়েকজন নতুন বাঙালি ফুটবলারকেও সই করানো হয়েছে।
অভিষেক দাস, নরহরি শ্রেষ্ঠা, রাহুল পাসোয়ান, তুহিন শিকদার, অয়ন মণ্ডল, সুপ্রিয় পণ্ডিত, সুব্রত সাঁতরা, সুস্নাত মালিকরা তো রয়েছেনই। এবার ডায়মন্ড হারবার দলে নিয়েছে হীরা মণ্ডলের ভাই নীরঞ্জনকে। এছাড়াও শেখ আরিয়ান, দীপ ঘোষ, সৌরভ রাম, বিশাল দাস, অভিজিৎ মণ্ডল, রবি মুর্মু, রবিলাল মান্ডিরাও রয়েছেন। ফলে স্থানীয় তথা বাঙালি ফুটবলারদের অনেক বিকল্প থাকছে কোচ কিবুর হাতে।
সিনিয়র তথা বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ভারতীয় দলে বাঙালি ফুটবলার প্রায় নেই বললেই চলে। আইএফএ তাই ছবিটা বদলাতে উদ্যোগী। কলকাতা লিগে চার ভূমিপুত্র খেলানো বাধ্যতামূলক করার যে সিদ্ধান্ত আইএফএ নিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার কোচ। কিবু ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, স্থানীয় ফুটবলার তুলে আনতে এটা খুব ইতিবাচক পদক্ষেপ।