প্রতিবেদন : কলকাতা লিগে জয়ের ছন্দ বজায় রাখল ডায়মন্ড হারবার। মঙ্গলবার ক্যালকাটা ফুটবল ক্লাবকে (সিএফসি) ২-০ গোলে হারিয়েছে কিবু ভিকুনার দল। একটি পেনাল্টি-সহ বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট না করলে, জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ত। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন সিএফসির সুরজিৎ দাস। ফলে ম্যাচের বাকি সময় ১০ জনে খেলেছে সিএফসি। কিন্তু গোলসংখ্যা বাড়াতে পারেনি ডায়মন্ড হারবার।
আরও পড়ুন-অন্তর্বর্তী জামিন ব্রিজভূষণের, পিছোল নির্বাচন
নৈহাটি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে শুরু থেকেই বিপক্ষকে চেপে ধরেছিলেন কিবুর ফুটবলাররা। মাঝমাঠে বাড়তি ওয়ার্কলোড নিচ্ছিলেন তুহিন শিকদার। অনবদ্য ফুটবল খেলে তিনিই ম্যাচের সেরা। ১৫ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার। এই গোল চমৎকার একটি বোঝাপড়ার ফসল। সিএফসির পেনাল্টি বক্সের কিছুটা বাইরে ফ্রি-কিক পেয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। জেরেমি সরাসরি শট না নিয়ে থ্রু বাড়িয়ে দেন অরক্ষিত রাহুল পাসোয়ানকে। বল জালে জড়াতে কোনও করতে ভুল করেননি রাহুল।
আরও পড়ুন-১৯৭৮ সালের পর ফের এই বছর যমুনা ছুঁল তাজ মহলের দেওয়াল
বিরতির আগেই দ্বিতীয় গোল তুলে নিয়েছিল কিবুর দল। ৩৫ মিনিটে তুহিনের চমৎকার সেন্টার থেকে জোরালো হেডে গোল করেন সৌরভ ভানওয়ালা। এর পরেও গোলের সুযোগ এসেছিল। কিন্তু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন তুহিন। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই একই ছবি। দাপুটে ফুটবল খেলে একের পর এক সুযোগ তৈরি হলেও গোল করতে পারেননি ডায়মন্ড হারবারের ফুটবলাররা। এরই মধ্যে পেনাল্টি নষ্ট করেন জেকব। এই জয়ের সুবাদে ৪ ম্যাচে তিনটি জয় ও একটি ড্র। ডায়মন্ড হারবারের পয়েন্ট আপাতত ১০। পরের ম্যাচে অবশ্য কিবুর দলের সামনে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। এবার খেলতে হবে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে। যারা আবার টানা তিন ম্যাচ জিতে দারুণ ফর্মে।
আরও পড়ুন-আগামীকাল বাইশ গজে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান, বাড়ছে স্নায়ুর চাপ
এদিকে, তিন পয়েন্ট পেলেও ফুটবলারদের সুযোগ নষ্টের বহর দেখে অখুশি ডায়মন্ড হারবারের স্প্যানিশ কোচ। ম্যাচের পর কিবু বলেন, ‘‘দল জিতেছে আমি খুশি। কিন্তু প্রতি ম্যাচেই ছেলেরা প্রচুর গোলের সুযোগ হাতছাড়া করছে। এটা চিন্তার বিষয়। ফুটবলে শেষ কথা গোল। এটা কিন্তু মনে রাখতে হবে।’’ পরের ম্যাচ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, ‘‘মহামেডান শক্তিশালী দল। তাই ম্যাচটা খুব কঠিন হতে চলেছে। তবে লম্বা লিগ। আমাদের অনেক জায়গায় উন্নতি করতে হবে।’’