প্রতিবেদন : দুর্গম পথ। প্রত্যন্ত এলাকা। যানবাহনও তেমন নেই। নদী পেরিয়ে সাত কিলোমিটার হেঁটে বাসিন্দাদের পরিষেবা দিতে পৌঁছে গেলেন দিদির দূতেরা। যা এক কথায় নজির। ময়নাগুড়ির নবগঠিত ক্রান্তি ব্লকের চাঁপাডাঙা এলাকা। সেখানেই মোয়ামাড়ি গ্রাম। একেবারে প্রত্যন্ত এলাকা। চাঁপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬১ নম্বর বুথের কয়েক পরিবার বসবাস করেন ওই মোয়ামাড়ি মৌজায় তিস্তা নদীর চরে ওই গ্রামে।
আরও পড়ুন-জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভা, জনজোয়ার সামাল দেওয়াই চ্যালেঞ্জ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ ক্রান্তি ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহাদেব রায়কে ওই এলাকায় যেতে বলেন। নির্দেশ মতো মহাদেববাবু দিদির দূত হয়ে পৌঁছে যান ওই গ্রামে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায়, ব্লক সম্পাদক আসিকুর রহমান, তৃণমূল নেতা নিরুমোহন রায় প্রমুখ। তাঁরা প্রতিটি বাড়িতে যান। দিদির সুরক্ষা কবচের আওতায় ওই বাসিন্দাদের আনতে সবরকম ব্যবস্থা করেন। সরকারের অন্য পরিষেবাগুলিও দ্রুত পৌঁছে যাবে বলেও কথা দেন। বিজেপি কোনও দিন এই এলাকাগুলি নিয়ে ভাবেনি। অথচ অন্ধকার এই গ্রামে আলোর দিশারি হয়ে পৌঁছে গিয়েছেন দিদির দূতেরা। তাঁদের পেয়ে আপ্লুত গ্রামের বাসিন্দারা ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।